পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
একাত্তর টিভি ও রাইজিং বিডি ডটকমের বরগুনা জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক ইমরান হোসেন টিটুর নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রতিবাদে পটুয়াখালীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে পটুয়াখালী জেলা প্রসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী সামসুর রহমান ইকবালের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, সাবেক সভাপতি স্বপন ব্যানার্জী, সাংবাদিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক নিরমল রক্ষিত, মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও একাত্তর টেলিভিশনের পটুয়াখালী প্রতিনিধি আহসানুক কবির রিপন।
মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব চত্ত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
বক্তারা টিটুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানান। মামলা প্রত্যাহার না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান।
জানা যায়, চলতি বছরের ১ মার্চ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ইয়ার উদ্দিন খলিফার মাজারের দুর্নীতি নিয়ে ইমরান হোসেন টিটুর অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রচার হয় একাত্তর টিভিতে। প্রতিবেদনটি করার সময় মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মল্লিকের ভাগ্নে বাদল ওরফে বাক্স বাদল প্রতিবেদনটি না করার জন্য একাত্তর টেলিভিশনের বরগুনা অফিসে এসে ঘুষ দিতে চায় সাংবাদিক ইমরান হোসেন টিটুকে। পরে ঘুষ দিতে চাওয়ার ভিডিওসহ প্রতিবেদনটি একাত্তর টিভিতে প্রচার হলে বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে।
পরে ৫ ই এপ্রিল বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন বাদল। বিষয়টি ২২ জুলাই রাতে জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়। একইসাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়।
ইমরান হোসেন টিটু বলেন, ‘মির্জাগঞ্জ মাজারের দুর্নীতি একটি নিউজ করায় আমার নামে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এমনকি এ নিউজ না করার জন্য আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং অনৈতিকভাবে টাকা প্রদানের চেষ্টা করা হয়। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে কিন্তু স্পট আছে আমাকে তারা আমাকে ঘুষ দিতে পারেনি। আমার কষ্ট হচ্ছে আমি ঘুষ না নিয়ে নিউজ করেছি এটাই কি আমার অপরাধ? ঘুষ না নেওয়ার ফলেই কি আমার নামে আদলত মালমা হলো।’