পটুয়াখালীতে সার গুদাম থেকে ৩৩৫ দশমিক ৯৫ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার আত্মসাতের অভিযোগে বাফার গুদামের সাবেক ডিপো ইনচার্জের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আসামির নাম হারুন আর রশিদ। তার বাড়ি বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার বালিয়াকাঠীতে। তিনি পটুয়াখালীর লাউকাঠীতে অবস্থিত বাফার গুদামের সাবেক ডিপো ইনচার্জ ছিলেন।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালী দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সাবেক উপ পরিচালক মো. ওয়াজেদ আলী গাজী বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৭ জুন থেকে ২০১৬ সালের তিন ডিসেম্বর পর্যন্ত পটুয়াখালীর লাউকাঠীতে অবস্থিত বাফার গুদাম থেকে ৩৩৫ দশমিক ৯৫ মেট্রিকটন সার আত্মসাৎ করা হয়েছে। যার আমদানি মূল্য ৮২ লাখ ৮৮ হাজার ৮১৬ টাকা ৬৬ পয়সা।
২০১৬ সালে আসামি হারুন আর রশিদকে বদলি করে উপ ব্যবস্থাপক পদে মো. মশিউল ইসলামকে পটুয়াখালী বাফার গুদামের দায়িত্ব দেয়া হয়। এক ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে হারুন আর রশিদ গুদামের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার সময় ৩৮৭১.০৫০ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার মজুত থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে ৩৫০৩.৩৫০ মেট্রিকটন সার মজুত পাওয়া যায়। এতে করে ৩৬৭.৭০০ মেট্রিকটন সার ঘাটতি পাওয়া যায়। পরে এ থেকে বৃষ্টি-ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের ঘাটতি হিসেবে ৩১.৭৫ মেট্রিকটন সার বাদ দিলে ৩৩৫.৯৫ মেট্রিকটন সারের ঘাটতি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় দুদক দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদক মামলা করে।
পটুয়াখালী দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, অনুসন্ধান শেষে মামলা করার জন্য দুদক অনুমোদন করায় রোববার পটুয়াখালী কার্যালয়ে মামলা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অধিকতর তদন্ত শেষে মামলাটি কোর্টে পাঠানো হবে।