শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সড়ক ও জনপথ কর্মকর্তার ব্যাংকে শত কোটি টাকার লেনদেন হরিরামপুরে ৪ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ ডিপিএইচই’র প্রাক্কলনিক আনোয়ারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিলেন শি জিনপিং বেনজীর-মতিউর-এর কুশপুতুল দাহ করায় হুমকি : উদ্বেগ প্রকাশ কোটা সমস্যার সমাধান করার দাবি জাতীয় শিক্ষাধারার হরিরামপুরে পদ্মা তীর রক্ষা বাঁধে ধস, জনমনে আতংক মুরাদনগর শ্রীকাইলে ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে হুরোয়া চ্যাম্পিয়ন তাড়াইলের কথিত পীর লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ বর্ষার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে নৌকার চাহিদা

এ যেন কাশফুলের মিছিল…!

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২
  • ৬০৯৯ বার পঠিত

বাংলার প্রতিটি ঋতুরই রয়েছে আলাদা রূপ বৈচিত্র্য। এমনি একটি ঋতু শরৎ। শরতের রূপ অন্য ঋতুর চেয়ে ভিন্ন। এ ঋতু আসে অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে।

প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজায় কাশফুল। সেটি দেখতেই ভীড় করেন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। ভোলা সদরের চরসামাইয়া ইউনিয়নের খেয়াঘাট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এমনই চিত্র দেখা গেছে। এ যেন কাশফুলের মনোমুগ্ধকর মেলা বসছে। বাতাসে দোল খাচ্ছে কাশফুল, সেই কাশফুলের নরম ছোয়া নিচ্ছেন কেউ কেউ। দৃষ্টিনন্দন কাশবন দেখে মন ছুয়ে যায় অনেকের। তাই সকাল এবং পড়ন্ত বিকেলে ঢল নামে প্রকৃতিপ্রেমীদের।

স্থানীয়রা জানালেন, প্রকৃতিতে যখন শরৎ আসে, তখন বিভিন্ন স্পটে প্রাকৃতিক ভাবেই সৌন্দর্যের শোভা ছড়ায় কাশফুল। যা নজর কাড়ে ভ্রমণ পিপাসুদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খেয়াঘাট সড়কের পাশে খোলা মাঠে অসংখ্য কাশফুলের গাছ। শুভ্র সাদা রঙে ঢেকে আছে মাঠ, ছড়াচ্ছে সাদা শোভা। দেখে মনে হচ্ছে যেন সবুজের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে একটু সাদা মেঘ।

চারদিকে কাশবন আর কাশবন। দূর থেকে মনে হবে এ যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা কোনো ছবি। নীল আকাশের নিচে দোল খায় সাদা কাশফুল। কাশফুলের সঙ্গে ছবি তোলায় মেতে ওঠেন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। তেঁততুলিয়া তীর ঘেঁষা মনোমুগ্ধকর এ স্পটির অবস্থান। যেখানে প্রতিদিন বিকেলে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন মানুষ। ঘুরতে আসা দর্শনার্থী পপি বলেন, প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের এক অনন্য কাশফুল। শরতের এ ফুল দেখতে কার না ভালো লাগে, আমরা ভালোলাগা থেকে এখানে ছুটে এসেছি। এখানে এসে ছবি তুলেছি, অফিসের কলিগদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে সময় কাটিয়েছি। খুব ভালো কেটেছে সময়টা। আরেক দর্শনার্থী সোনিয়া বলেন, ছোটবেলা থেকেই কাশফুলের প্রতি একটা আকর্ষণ ছিল, এখনও ভালো লাগে কাশফুল। প্রকৃতির খুব কাছাকাছি থেকে খুব ভালো কেটেছে সময়টা।

একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মুন্নি রহমান, সোনিয়া আক্তার ও রাসেল উদ্দিনসহ অন্যরা। তারাও এসছেন কাশফুল দেখতে।

তারা জানালেন, অফিসের কাজের ফাঁকে একটু প্রশান্তি পেতে সহকর্মীদের সঙ্গে কাশফুলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য দেখতে ছুটে এসছি। এখানে এসে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। একই কথা জানান আজিম উদ্দিন নামের আরেক দর্শনার্থী। শরতের বর্নিল আলোয় ঢেউ খেলে। যা যে কারো মন ছুয়ে যাবে। ছুটির দিনে এখানে ভীড় জমান দর্শনার্থীরা। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ বা ব্যস্ত প্রিয়জন নিয়ে ঘুরে বেড়াতে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়েজ কাশফুলের এ মেলা প্রকৃতিপ্রিয় মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..