ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা এমি বাদী হয়ে মঙ্গলবার ধর্ষক মোঃ শামীম কে আসামী করে ভালুকা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন । এদিকে ঘটনার পর থেকে ধর্ষক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে রয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় উপজেলার জামিরদিয়া ডোবালিয়াপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে শামীমের সাথে উপজেলার রাজৈর ইউনিয়নের মৃত: ছামাদের মেয়ে এমির প্রায় চারবছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এর সুত্র ধরে ঐ কিশোরী কে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে বখাটে শামীম। এমনকি শামীম বিয়ের কথা বলে কিশোরীকে তার বসতবাড়িতে নিয়েও কয়েকবার ধর্ষণ করেন বলে জানান ভুক্তভোগী । এভাবে চলাকালীন এক পর্যায়ে ধর্ষীতা এমি বিয়ের জন্য চাপ দিলে শামীম বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এমির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ঘটনার দিন সোমবার ধর্ষিতা কিশোরী বিয়ের দাবিতে শামীমের বাড়িতে গিয়ে দিনব্যাপী অনশন শুরু করে। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় ভালুকা মডেল থানা পুলিশ এমিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় এমি বাদী হয়ে ধর্ষক শামীম কে আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার নং ৩০/৫৫৭।
এদিকে মামলার খবর পেয়ে ধর্ষক শামীম এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
মামলার বাদী ধর্ষিতা কান্না জরিত কন্ঠে অভিযোগ করে বলেন, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে শামীম। সে এখন আমাকে বিয়ে করতে চায়না বলে ওর নামে আমি মামলা করেছি। আমি এর বিচার চাই। উল্লেখ্য বখাটে শামীম ইতিপূর্বে এরকম আরো অনেক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ধোকা দিয়েছে। ঘটনার সঠিক ন্যায়বিচার চেয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এলাকাবাসী। বিষয়টি নিয়ে হবিড়বাড়ি ইউপি সদস্য মোঃ তোফাজ্জল হোসাইন বলেন , ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশের মাধ্যমে ধর্ষিতাকে থানায় পাঠানো হয়েছে। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, মামলা রুজু করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।