শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বেতাগীতে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ মুরাদনগরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলার ভোটগ্রহণ ২৯ মে ঝালকাঠিতে ট্রাক, অটোরিকশা ও প্রাইভেট কারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর মির্জাগঞ্জে কৃষি জমিতে সেচ দিতে গিয়ে যুবক ফিরলো লাশ হয়ে মির্জাগঞ্জে ইসি সচিব’র সাথে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে সাবেক ইউপি সদস্যের স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু তাড়াইলে জাতীয় উলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

শিশুদের জন্য পৃথক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবিতে স্মারকলিপি পেশ

মনজুর মোর্শেদ তুহিন (পটুয়াখালী প্রতিনিধি):
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৫৯৮৩ বার পঠিত
শিশুদের জন্য পৃথক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করেছে ন্যাশনাল চিলড্রেনস্ টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) পটুয়াখালী জেলা শাখা।
বেসরকারি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার নেটওয়ার্ক জয়েনিং ফোর্সেস বাংলাদেশের উদ্যোগে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শরীফুল ইসলামের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
এনসিটিএফ জেলা শাখার সভাপতি রুবাইয়াত হক ও সাবেক সভাপতি একেএম ইমরান সালেহীনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের শিশু দল স্মারকলিপি পেশ করেন। স্মারক লিপিতে বলা হয়েছে, ১৯৭২ সালের সংবিধানের ২৮(৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘মহিলা ও শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে রাষ্ট্রকে কোনো কিছুই বিরত রাখতে পারবে না’। এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও দায়বদ্ধতাকে সুস্পষ্ট করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ (ঈজঈ) অনুস্বাক্ষর করেছে এবং শিশু অধিকারকে সম্মান প্রদর্শন করে শিশুদের মঙ্গল ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা, আইন, পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন সহ এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৮ বছরের কম বয়সের জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ। এই বিশাল জনগোষ্ঠী বিভিন্ন মানের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোতে বেড়ে উঠছে, যার ফলে শিশুদের জীবন বহুমাত্রিক সমস্যা দ্বারা আক্রান্ত। কোনো একটি নির্দিষ্ট কর্মসূচি দিয়ে অথবা একমুখী পরিকল্পনা দিয়ে শিশুদের জীবনের সকল সমস্যাকে সমাধান করা সম্ভব নয়। এর জন্য পরিকল্পনা, সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি, কার্যকর বাস্তবায়ন ও সকল ক্ষেত্রে শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ বিবেচনা করার জন্য সর্বক্ষেত্রে সুসমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। এখানেই শুধুমাত্র শিশুদের জন্যই নিবেদিত প্রাণ একটি পৃথক শিশু অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি চলে আসে, যার মাধ্যম সুসংগঠিত ও সুসমন্বিত করা হবে শিশুদের জন্য রাষ্ট্রের সকল প্রতিশ্রুতি ও তার বাস্তবায়ন। বাংলাদেশে শিশুদের জন্য একটি পৃথক অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠা নাগরিক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবি। শিশুদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে শিশু বিষয়ক কর্মকান্ডে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় খুবই গুরুত্বপুর্ণ।
সরকার এ বিষয়ে নীতিগত ভাবে একমত হয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সর্বশেষ ২০২০ সালে মাননীয় অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় পৃথক শিশু অধিদপ্তরের বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু ২০২০ এর পর এ বিষয়ে সরকারের আর কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। মাননীয় মন্ত্রী, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও সম্প্রতি এ বিষয়ে সরকারের সহযোগী উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে আশ্বস্ত করেছেন। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমিকে পৃথক শিশু অধিদপ্তরের বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দুটি প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম সম্পুর্ণ ভিন্ন হওয়ায় একটি কখনও আরেকটির বিকল্প হতে পারে না। তাই শিশুদেরকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে শিশু বিষয়ক সকল উন্নয়ন, পরিকল্পনা, আইন ও নীতিমালার কার্যকর ও সঠিক বাস্তবায়নে দ্রুততার সাথে একটি পৃথক শিশু অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়ার বিনীত অনুরোধ জানাই। এসময় জেলা প্রশাসক শিশুদের শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়াসহ শিশুর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন বন্ধে কাজ করার আহবান জানান।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..