বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সরিষা চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন হরিরামপুরের কৃষকরা ৪৭ জন ইউএনওকে বদলির সুপারিশে ইসির অনুমোদন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন নয় : ওবায়দুল কাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ, আগামীকাল আপিল শুরু রাজধানী ও আশেপাশের এলাকার নদী-খাল-বিল সংস্কারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞের নীরব দর্শকরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী পটুয়াখালীর ৪টি আসনে ৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা বেতাগীতে ১৪৫ জনকে ফ্রী চক্ষু চিকিৎসা প্রদান মিরপুর সাইন্স কলেজে নবীনবরণ, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সর্বজনীন আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

প্রশিক্ষণ ভাবনা: এস.এম আক্তারুজ্জামান, ডিআইজি বরিশাল রেঞ্জ

এস.এম আক্তারুজ্জামান: ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (ডিআইজি)
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৫৮৬৫ বার পঠিত
এস.এম আক্তারুজ্জামান: ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (ডিআইজি)
প্রশিক্ষণ ভাবনা:
এস.এম আক্তারুজ্জামান: ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (ডিআইজি)
প্রশিক্ষণ নামে যে বিশাল কর্মযজ্ঞ বা সিলেবাস আছে তা চাকুরিতে আসার আগে জানতামনা। সর্বপ্রথম প্রশিক্ষণ লাভ করি বেক্সিমকো ফার্মাতে জয়েন করে। সেটা ছিল ওরিয়েন্টেশন প্রশিক্ষণ যেখানে চাকুরির নিয়ম, শর্ত এবং মার্কেটিং শিখানো হয়েছিল।
তবে যারা বিএনসিসি বা আনসারের সাথে জড়িত ছিল তারা ক্যাম্প বা শারীরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। বা অনেকে খেলাধুলা বা নাচের প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।
পুলিশে জয়েন দিয়ে দেশে বিদেশে অনেক প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগ হয়েছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে সরকারের প্রতিটি সংস্থা ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়, বিনিয়োগ করেন। প্রতিটি সরকারি কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের’কে বছরে ৬০ঘন্টা প্রশিক্ষণ নিতে হয়।
এত প্রশিক্ষণ নেয়ার পর প্রায়ই সরকারি পর্যায়ে আফসোস বা হতাশা দেখা যায়। প্রাইভেট লেভেলে খুব দেখা যায়না। কারন কি? এ নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে হচ্ছে।
প্রথম পর্যায়ের প্রশিক্ষণের নাম হল সারভাইভাল প্রশিক্ষণ মানে যে কোন পারবারিক, ব্যাক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং পরিবেশগত দূর্যোগ বা প্রতিকুলতায় নিজেকে ধৈর্যশীল এবং স্থিতিশীল থাকা। অনেকে সামান্য অসুখ হলেই দুর্বল হয়ে যায়, একটু ধমক দিলেই নার্ভাস হয়ে যায়, একটু কঠিন কাজ দিলেই সরে যেতে চায়। এই ধরনের সারভাইভাল ফিটনেস নেই অনেক লোকের: সরকারি লেভেলেও দেখা যায়। এই প্রশিক্ষণ জন্ম থেকেই নিতে হয়। পারিবারিক এবং স্কুল পর্যায়েই এই প্রশিক্ষণ হয়ে যায়। ক্যাডেট কলেজগুলি এই বিষয়ে অগ্রদূত।
২য় পর্যায়ের প্রশিক্ষণ হল সামাজিকিকরন বা সোস্যালাইজেশন। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, রাস্তায় থুতু না ফেলা, অন্যের জিনিষ বা সম্পদ গ্রাস না করা, মিথ্যা না বলা, আরেকজনের ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা না বলা, নিন্দা বা বৈষম্য না করা, সময়নুবর্তিতা ইত্যাদি সামাজিক আচরনের বিষয়। এগুলি কি চাকুরিতে এসে প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়?
এর পরে আসে, বেসিক নলেজ বা কমনসেন্স। এটা কি প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়? এটা দেখেইতো নিয়োগ দিতে হয়। এগুলিতে ঘাটতি থাকলেতো নিয়োগ পাওয়ার কথা নয়। কমনসেন্স এবং একাডেমিক নলেজসমৃদ্ধ উপযুক্ত জনবল গড়ে দেয়ার দায়িত্ব পরিবার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। আর বাজার থেকে উপযুক্ত জনবলকে বেছে নেয়ার দায়িত্ব নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের।
প্রশিক্ষণ কে দিবে? প্রশিক্ষণ দুই সোর্স থেকে আসে। বাহিরের কেউ প্রশিক্ষণ দেয় বা ফীডিং যা আমাদের সরকারি পর্যায়ে বেশি হয়। ইদানিং টুওয়ে বা মিথোস্ক্রিয়া যুক্ত হয়েছে। আর অপরটি হচ্ছে নিজেই নিজেকে প্রশিক্ষণ দেয়া। যাকে বলা হয় ব্রীডিং। সরকারি পর্যায়ে ব্রীডিং কম দেখা যায়।
বেসরকারি চাকুরিতে অযোগ্যারা টিকে থাকেনা, তারা নিশ্চিতভাবে ঝড়ে যায়। এটা খুব সহজ এবং গৃহীত। অন্যদিকে সরকারি চাকুরিতে সবাই যোগ্য, মেধাবি। তাদের সরকারি চাকুরি সুরক্ষিত। তাই তাদেরকে কর্মশীল রাখতে প্রশিক্ষন বড় মাধ্যম। তবে ফীডিং বেশি কার্যকর নয় এই ক্ষেত্রে আমার ধারনা।
আসুন নিজে শিখি, নিজেকে নিজেই প্রশিক্ষণ দেই। আমার কাজটি কিভাবে দ্রুত, কম খরচে, কম জনবলে, কম সময়ে, কম ইনপুটে, উন্নত ধাচে, কম হয়রানীতে করতে পারি সেই দিকে নিজেকে প্রশিক্ষণ দেই। তাহলেই আসবে মহান বিজয়ের সার্থকতা।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..