শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানা এলাকায় বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত ইমরান হোসেন (২৬) মারা গেছেন।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন।
তিনি বলেন, বোমা বিস্ফোরণে আহত এক ব্যক্তিকে গতকাল দুপুরে আমাদের এখানে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হলে গতকাল রাতে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নিহতের ভাই স্বপন বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে কেউ আমাদের গোয়াল ঘরে বোমা রেখে যায়। পরে ছাগল নিয়ে আসতে গেলে বোমার বিস্ফোরণ হয়ে আমার ভাই গুরুতর আহত হয়।
এদিকে এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, নিহত ইমরান হোসেনকে গত ২১ তারিখে বোমা বিস্ফোরণে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। এখান থেকে চিকিৎসা দেওয়ার পর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
তিনি আরো বলেন, তার সাথে থাকা লোকজন শত্রুতা করে কেউ গোয়াল ঘরে বোমা রেখে গিয়েছিলে বলে জানালেও প্রকৃতপক্ষে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত হয় সে। বিষয়টি শরীয়তপুর জেলা পুলিশ অবগত আছে। ঘটনা জানার পর শরীয়তপুর জেলার একজন পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকা এসেছিলেন। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।