পঞ্চগড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আব্দুর রশিদ আরেফিন (৫১) নামে এক কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহত আরেফিন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তবে এ ঘটনায় আরেকজনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেলেও বিএনপির পক্ষ থেকে নিশ্চিত তথ্য মেলেনি।
শনিবার দুপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে গণমিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। ঘণ্টাব্যাপি চলা সংঘর্ষে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের দিকে রাবার বুলেট, টিয়ারশেল এবং কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরাও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ ঘটনায় বোদা ময়দানদীঘি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিন মারা যান ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাবুসহ অর্ধ-শতাধিকেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে জানান তারা।
এর আগে, দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে গণমিছিলের প্রস্তুতি নেয় বিএনপি। জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকে সেখানে। পরে দলটি গণমিছিল বের করলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম কাচ্চু জানান, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। পুলিশ বাধা দিয়ে বিনা কারণে পরিস্থিতি ঘোলা করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠি চার্জ করে নিযার্তন করেছে। আমাদের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। অনেকেই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কয়জন মারা গেছে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, একজন মারা গেছেন। তবে শুনছি আরেকজন মারা গেছেন, তবে এখনও নিশ্চিত নই বলে জানান।
পুলিশ সুপার এস, এম, সিরাজুল হুদা পিপিএম বলেন, বিএনপির জাতীয় কর্মসূচি ছিল। পুলিশ তাদেরকে শান্তিশৃঙ্খলাভাবে কর্মসূচি পালন করতে বললে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল মারতে শুরু করে। এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। তবে যে একজন মারা গেছে দাবি করা হচ্ছে, সেটি এ ঘটনায় তিনি মারা যাননি। তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, স্ট্রোক করে মারা গেছেন।