গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে ইভিএমের নিরাপত্তা, সিল সংরক্ষণ, গোপনীয়তা রক্ষা, ভোটকেন্দ্রে সিল প্রেরণ ও আইন অনুসারে নির্বাচনী কাগজপত্র সংরক্ষণে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, ইভিএমসহ বিভিন্ন নির্বাচনী সামগ্রী রিটার্নিং অফিসারের কাছে যথাসময়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইভিএমসহ বিভিন্ন নির্বাচনী সামগ্রী জেলা পর্যায়ে পৌঁছানোর পর জেলা ও পুলিশ প্রশাসন বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেবে।
তিনি জানান, এই পরিপত্রে ইভিএমের নিরাপত্তা, ইভিএমের গোপনীয়তা রক্ষা, ব্রাস সিলের নিরাপত্তা কোড নম্বর, হেসিয়ান ব্যাগ ও গানি ব্যাগের মাধ্যমে নির্বাচনী সামগ্রী প্রেরণ, নির্বাচনী সামগ্রী ও ভোটগ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য সহায়তা ও নির্বাচনী কাগজপত্রাদি নিরাপত্তা সহকারে সংরক্ষণ করা হবে। জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে জারি করা নির্দেশনা অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে।
এর আগে, গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনে সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করে ব্যাপক অনিয়ম পেয়েছিল ইসি। সে কারণে নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেছিল সংস্থাটি। এরপর তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায়ও এনেছে ইসি। এক্ষেত্রে গত ১ ডিসেম্বর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং কর্মকর্তা, পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর গত ৭ ডিসেম্বর ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। এতে আগের প্রার্থীদের প্রার্থিতা বহাল রাখা হয়।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসন উপ-নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন—মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (বিকল্প ধারা), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র)।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি এই দুই উপজেলা নিয়ে এই সংসদীয় আসন গঠিত। এতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ফুলছড়ির সাতটি ইউনিয়নে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ জন এবং সাঘাটার ১০টি ইউনিয়নে ২ লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন ভোটার রয়েছেন।