মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নে রামপুর গ্রামে একটি বাড়িতে আগুন লেগে সেখানে বসবাস করা চারটি পরিবারের সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই হয়েছে। পরে মির্জাগঞ্জ সদরের ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল ৪ টার দিকে মাদবখালী ইউনিয়নের মধ্য রামপুর এলাকার মোঃ ইউসুফ হাওলাদার এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে এক ঘন্টার ব্যবধানে চারটি পরিবারের ১৮ জন সদস্য খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০লক্ষ টাকা বলছে পরিবারের সদস্যরা।
বাড়ির মালিক মোঃ ইউসুফ হাওলাদার সহ তার তিন ছেলে সেলিম ,মোজাম্মেল , নুরজামাল মোট চারটি পরিবার সেই বাড়ির ৫টি কক্ষে বসবাস করতেন। মোঃ ইউসুফ হাওলাদার জানান, বিকেল ৪ টার দিকে তারা ঘরের একটি কক্ষে আগুন দেখতে পায়। ঘরে ফ্রিজ ও গ্যাস সিলেন্ডার থাকায় আগুনের ভয়াবহতার কারণে তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাশের ঘর গুলোতে আগুন লেগে যায়। আগুনে পুড়ে যায় ৪টি ঘরের সবকিছু।
অপরদিকে ফায়ার সার্ভিসের ঘটনাস্থলে দেরি করে পৌঁছানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ইউসুফ হাওলাদার বলেন, ৪ টার দিকে আগুন লাগে, এর পরপরই ফায়ার সার্ভিস খবর দেওয়া হলেও রাস্তাঘাট অনুন্নত থাকার কারণে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছাতে দেরি করে। ততক্ষণে কিছুই অবশিষ্ট ছিলোনা।
ইউসুফ হাওলাদার এর ভাই শাহজাহান হাওলাদার বলেন, আগুন লাগার পর আমরা এসে নেভানোর চেষ্টা করি। আগুন বেশি থাকায় কাছে যেতে পারিনি। ফায়ার সার্ভিস দেরিতে পৌছানোয় ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব হয়নি। আগুন লাগার দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলেও জানান তিনি।
মাধবখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব কাজী মিজানুর রহমান লাভলু বলেন, তিন থেকে চারটি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে, হয়তো শর্ট-সারকিটের কারণে আগুন লাগতে পারে ,
অসহায় পরিবার সহ এলাকার সর্বস্তরের জনগণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।