গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানা টানা তিন দিনের অভিযানে আন্তঃ বাংলাদেশ গরু চোর সিন্ডিকেটের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি মিনি পিকআপ ও ৫টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারী শনিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের আয়োজনে পলাশবাড়ী থানা ভবনে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।
এবিষয়ে পলাশবাড়ী থানায় প্রেস কনফারেন্সে সার্বিক তথ্য তুলে ধরেন গাইবান্ধা পুলিশ সুপার । এসময় সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) উদয় কুমার সাহা, পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা, পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) দিবাকর অধিকারী, টিআই নুরে আলম সিদ্দিক, এসআই মিজানুর রহমান-১, এসআই রাজু ইসলাম, এসআই শফিকুল ইসলাম সহ থানা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যসহ স্থানীয় সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার বলেন পলাশবাড়ী থানা পুলিশের একটি টিম রংপুর ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের চেকপোস্ট বসিয়ে যাত্রীবাহী বাস ট্টাকে নিয়মিত তল্লাশি চালায়।এসময় তারা একটি পিকআপকে সিগনাল দিলে পিকআপ ড্রাইভার সিগন্যাল উপেক্ষা করে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের আটক করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে,
গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন যে, পিকআপ ভর্তি গরুগুলি হচ্ছে চোরাই । টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলা থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে বিক্রির জন্য নেয়া হচ্ছে। তারা আরো জানায় এভাবেই তারা সারাদেশের এক জেলার চোরাই গরু অন্য জেলায় সরবরাহ করে আসছে। খুব দ্রুততম সময়ে গরুগুলি জবাই করার কারনে খুব সহজেই তা উদ্ধার করা সম্ভব হয় না।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার সাবদিন মরিচাপুর গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে আলামিন (২৪),লালমনিরহাট জেলার বাঁশদহ গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে সোহাগ মিয়া, (২৭),গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার সুলতানপুর বারাইপাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম এর ছেলে মোনারুল ইসলাম (২২), টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই রনারচলা গ্রামের শামসুল দেওয়ানের ছেলে রাসেল দেওয়ান (৩২) ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাজদহ বাজারপাড়া গ্রামের শামসুল মিয়ার ছেলে ফিরোজ মিয়া( ২৮)।
তাদের নিকট হতে উদ্ধারকৃত আলামতগুলো হলো- একটি সাদা রংয়ের পিক-আপ, যাহার রেজিঃ নং- ঢাকা মেট্রো-ন-১৯-৮৩৪৬ ৷ একটি লাল রংয়ের আড়িয়া গরু, একটি কালো রংয়ের গাভী, একটি লাল রংয়ের ছোট বাছুর, একটি সাদা কালো রংয়ের গাভী, একটি মেটে রংয়ের ছোট বাছুরসহ মোট গরু ও বাছুর ৫ টি, যার অনুমানিক মূল্য ৩,০০,০০০(তিন লক্ষ) টাকা।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাশবাড়ী থানার মামলা নং- ৩৮, তারিখ- ১০/০২/২০২৩ ।
এর সাথে জড়িত অন্যান্য ও পলাতক আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক দ্রুত আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে পুলিশের কার্যক্রম রয়েছে চলমান । এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জেলা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।