মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে- মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৬ মার্চ) দুপুর ২টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা শারমিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) আসনের সাংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সচেতন, সক্রিয় ও অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করতে হবে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এই দেশ আবারও পরাজিত শক্তির হাতে চলে যাক, এটা আমরা চাই না। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদ সহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রবিবার প্রত্যুষে উপজেলা পরিষদে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলা পরিষদ স্বাধীনতা ভাস্কর্যের পাশে শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপজেলা পরিষদ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, তাড়াইল উপজেলা সংবাদকর্মী, স্কুল-কলেজ, পেশাজীবী সংগঠন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল আটটায় তাড়াইল সরকারি মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে সমগ্র দেশের সাথে একযোগে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ভুঁইয়া শাহীন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা শারমিন ও তাড়াইল থানা (ভারপ্রাপ্ত) অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আবদুল হাই, তাড়াইল সরকারি মুক্তিযোদ্ধা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ ফারুক উদ্দীন আহম্মেদ ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও স্কুল-কলেজ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু কিশোর সংগঠন কর্তৃক বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান ও শরীরচর্চা প্রদর্শন করা হয়।
উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামান্য চলচ্চিত্র ও দুর্নীতি বিরোধী তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়কে জাতীয় পতাকা ও রং বে-রঙের পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করেন।