গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে অনাস্থা প্রস্তাবের আবেদন দাখিল করেছেন ইউপির ৯ সদস্য।
প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে জানা যায়, ৩ এপ্রিল সোমবার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে ওই ইউপির ৯ সদস্য স্বাক্ষরিত অনাস্থা প্রস্তাব উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাখিল করা হয়েছে। এদিন বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান অভিযোগকারী ইউপি সদস্যবৃন্দ।
লিখিত অনাস্থা প্রস্তাবে সদস্যবৃন্দ জানান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা সদস্যদের জনপ্রতিনিধিত্ব বিধিমালার বৈধ ক্ষমতা খর্ব করে সম্পূর্ণ পরিকল্পিত স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে পরিষদের সামগ্রিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্নসাৎ, প্রকল্প সমূহের নয়-ছয়, অনিয়ম, ইউপি সদস্যদের নানা হুমকি- ধামকি পরিষদের নীতিমালানুযায়ি মাসিক মিটিং না করা, বাৎসরিক হিসাব এবং সম্মানী ভাতা পরিশোধ না করা, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ১% এর উত্তোলনকৃত টাকা ভূয়া কার্যক্রম দেখিয়ে আত্মসাৎ, জম্মনিবন্ধনে ফি বেশি নেয়া, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ভিজিএফ’এর চাল কম দেয়া।
এছাড়াও চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ভিজিডির তালিকা প্রনয়ণে চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ি, অর্থ-বিত্তশালী ও স্বচ্ছল ব্যক্তিদের কার্ড করে দেয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়া, ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্সের উত্তোলিত অর্থ পরিষদের হিসাব নাম্বারে জমা না করে নিজ একাউন্টে গচ্ছিত রাখা।
জনস্বার্থে টিসিবির পণ্যসামগ্রী বিতরণের কার্ড নিজ জিম্মায় রেখে মালামাল উত্তোলন, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি কার্যক্রমে ভুয়া নাম দিয়ে টাকা উত্তোলন করে পকেটস্থসহ অবৈধপন্থায় সরকারি রাস্তার গাছ কর্তন সহ বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতি করে আসছেন।
অনাস্থা আবেদন প্রস্তাবে স্বাক্ষরকারী ইউপি সদস্যরা হলেন, সোহেল রানা, আবু তাহের সরকার, মোরশেদ আলম, আব্দুল মালেক আকন্দ, মোস্তাফিজার রহমান, ময়নুল হক মন্ডল, বাদশা মিয়া, আতোয়ারা বেগম এবং রওশন আরা বেগম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান নয়ন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত লিখিত আবেদন পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে স্থানীয় সরকার আইন (ইউনিয়ন পরিষদ) অনুযায়ী পদক্ষেপসহ কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।