গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের রাইতি নড়াইল গ্রামের মাদকাসক্ত ছেলে আব্দুল কুদ্দুসের (৪৫) বিরুদ্ধে তার মা কুলসুম বেগমকে (৭০) গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
১৭ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টার দিকে রাইতি নড়াইল গ্রামে অভিযুক্তের বসতবাড়ীতে উক্ত ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস ওই গ্রামের মৃত হানিফ উদ্দিন শেখের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল কুদ্দুস একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি। নিজ এলাকায় ও বসত বাড়ীতে সে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত। তিনি নেশা করে বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতন চালাতেন। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্ত্রীসহ সন্তানরা বাড়ি ছেড়ে দুই কিলোমিটার দূরে জানিপুর গ্রামে নানার বাড়িত বসবাস করেন। এরপর থেকে আব্দুল কুদ্দুস প্রায়ই নেশাগ্রস্ত হয়ে বাড়ি ফিরে মাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল ১০টার দিকে মাতাল কুদ্দুস তার মাকে মারপিটের একপর্যায়ে তাকে গলা টিপে হত্যা করেন। পরে প্রতিবেশী লোকজন ঘটনাস্থলে এসে আব্দুল কুদ্দুসকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পলাশবাড়ী থানা পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত কুদ্দুসকে আটক করে । মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পলাশবাড়ী থানা পুলিশ ।
থানা সূত্রে জানা যায়, আব্দুল কুদ্দুস একটি মাদক মামলায় সাজাভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এদিকে এঘটনার পর অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে তুহিন মিয়াও স্বীকার করেছেন যে, তার বাবা আব্দুল কুদ্দুস তার দাদীকে গলা টিপে হত্যা করেছেন।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা জানান, অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস কে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।