শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সড়ক ও জনপথ কর্মকর্তার ব্যাংকে শত কোটি টাকার লেনদেন হরিরামপুরে ৪ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ ডিপিএইচই’র প্রাক্কলনিক আনোয়ারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিলেন শি জিনপিং বেনজীর-মতিউর-এর কুশপুতুল দাহ করায় হুমকি : উদ্বেগ প্রকাশ কোটা সমস্যার সমাধান করার দাবি জাতীয় শিক্ষাধারার হরিরামপুরে পদ্মা তীর রক্ষা বাঁধে ধস, জনমনে আতংক মুরাদনগর শ্রীকাইলে ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে হুরোয়া চ্যাম্পিয়ন তাড়াইলের কথিত পীর লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ বর্ষার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে নৌকার চাহিদা

আশ্রয় কেন্দ্রে তালা ভেঙ্গে ঘরে অন্য লোক তুলে দিলেন চেয়ারম্যান!

আমির হোসেন (ঝালকাঠি প্রতিনিধি):
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৫৮২৬ বার পঠিত

ঝালকাঠির রাজাপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে বরাদ্দ পাওয়া স্বামী পরিত্যাক্তা বাক প্রতিবন্ধী এক নারীর ঘরের তালা ভেঙ্গে ঐ ঘরে অন্য লোক তুলে দিয়েছে চেয়ারম্যান।

উপজেলা বড়ইয়া ইউনিয়নের উত্তমপুর আশ্রয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ঐ চেয়ারম্যানের নাম মো. সাহাবউদ্দিন সুরু মিয়া। সে বর্তমানে উপজেলার ৫নং বড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান।

শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল উত্তমপুর আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দারা ও ভূক্তভোগী মা কহিনুর বেগম জানায়, সরকারী ভাবে যাচাই-বাছাই শেষে গত দুই বছর পূর্বে আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে বরাদ্দ পেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা কাকুলী বেগম তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বরাদ্দের ঘরে থাকতে শুরু করেন। ঘর নম্বর ২৭৯। কাকুলীর ছেলে আলীম বালুর ড্রেজারে কাজ করেন। কাকুলী তার মায়ের কাছে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকেন। সম্প্রতি কাকুলী অসুস্থ হলে ঘরে তালা লাগিয়ে চিকিৎসার জন্য কাকুলীর মা তাকে নিয়ে যায়। এই সুযোগে গত শুক্রবার বিকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাকুলীর ঘরের তালা ভেঙ্গে বরাদ্দে নাম না থাকলেও মারুফা নামের অন্য এক নারীকে ঐ ঘরে থাকতে দেন। এখন কাকুলী তার একমাত্র মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকু হারিয়ে ঐ ঘরের পাশে পাশে ঘুরছেন আর কান্না করছেন। স্থানীয় বাসিন্দরা আরো জানায়, এই আশ্রয় কেন্দ্রে যারা ঘর পেয়েছে তাদের সবার নামে ঘরসহ জমির বন্দোবস্ত রয়েছে।

এখানের বাসিন্দারা কেউ দুই একদিন অনুপস্থিত থাকলেই চেয়ারম্যান প্রথমে পাঁচ-দশ হাজার টাকা পেলেই একজনের ঘরে অন্য জনকে তুলে দেন। পরে গ্রাম পুলিশ আনোয়ার হোসেনের মাধ্যমে কিস্তিতে কিস্তিতে বাকি টাকা নেয়।

ঐ ঘরের নতুন বাসিন্দা মারুফা বেগম জানায়, আমার বাড়িতে একটু জামেলা হয়েছে। তাই ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে আমাকে থাকার জন্য নিজ হাতে তালা ভেঙ্গে এই ঘরে থাকতে দিয়েছে। আমার নামে কোন ঘর বরাদ্দ নেই। এর আগে গত বৃহস্পতিবার অন্য একটি ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে থাকতে দিয়েছিল। সেখানে ঘরের মালিক আমাকে নামিয়ে দিলে শুক্রবার এই ঘরের তালা ভেঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাহাবউদ্দিন সুরু মিয়া জানান, মারুফা তার বাড়িতে থাকতে পারে না আমার সাথে কান্না কাটি করছিল তাই তাকে থাকার জন্য আশ্রয় কেন্দ্রে একটি ঘর দিয়েছিলাম। এখন সমস্যা হলে আর থাকবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান বলেন, বিষয়টি আমি শুনে ঘর ফাঁকা করতে চেয়ারম্যানকে বলে দিয়েছি। আশ্রয় কেন্দ্রে যদি কোন ঘর ফাঁকা থাকে সে ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে তা উপজেলা প্রশাসন নিবে, ইউপি চেয়ারম্যান নয়।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..