শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান মোঃ রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ মুরাদনগরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ বেতাগীতে প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম : যুবক গ্রেফতার শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত চাইব : অধ্যাপক ইউনূস সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ : অধ্যাপক ইউনূস তাড়াইলে অনৈসলামিক কর্মকান্ড বন্ধের দাবিতে ইমাম-উলামা পরিষদের প্রতিবাদ তাড়াইলে আলেম-উলামা ও তাওহীদি জনতার ব্যনারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধায় ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন গ্রেফতার: ৫

আশরাফুজ্জামান সরকার (গাইবান্ধা প্রতিনিধি):
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৫৮২৮ বার পঠিত

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় গত ১৯ মার্চ চালককে হত্যার পর মরদেহ ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে রেখে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা-ভ্যান ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

২৮ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে নিজ কার্য্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গাইবান্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) কামাল হোসেন।

তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ওবায়দুল ইসলাম (২৪), রুবেল মিয়া (২২), জসিম উদ্দিন (৩২), সাজু মিয়া (৪০) ও রেজাউল করিম (৫০)। এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ওবায়দুল, রুবেল ও জসিম।

এসপি কামাল হোসেন আরো জানান, হত্যাকান্ডটি ছিলো একটি ক্লুলেস ঘটনা।

দীর্ঘদিন থেকে এদের ধরার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে অবশেষে আসামীদের ঢাকা জিরাবো এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের দু’জনের বাড়ি সাঘাটা উপজেলায় ও একজনের বাড়ি বরিশাল জেলার হিজলা থানা এলাকায়। এছাড়া ছিনতাই করা রিকশা-ভ্যানটি কেনার সঙ্গে জড়িত সাজু ও রেজাউলকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয। তাদের বাড়ি সাঘাটার বারোকোনা বাজার এলাকায়।

গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত ওবাইদুল, রুবেল ও জসিমকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৯ মার্চ রাত ৯টার দিকে রুবেলের অটোভ্যানটি সাঘাটা বাজার থেকে ভাড়া করেন তারা । পরে বাদিনারপাড়া গ্রামের দিকে যাওয়ার পথে নির্জন এলাকায় অটোচালক রুবেলকে তার ব্যবহৃত চাদর গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ পাশের ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে রেখে তারা অটোভ্যান ও মোবাইল নিয়ে চলে যান। পরে ভ্যানটি স্থানীয় বারোকোনা বাজারের সাজু ও রেজাউলের কাছে সাড়ে ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে রাতেই তারা একসঙ্গে ঢাকায় চলে যান।

গ্রেফতার এর পর জিজ্ঞাসাবাদে ওবাইদুল, রুবেল ও জসিম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তারা ঢাকায় একই ভাড়া বাসায় থাকতেন। প্রকৃতপক্ষে আসামীরা মাদকাসক্ত। মূলত টাকার জন্যই তারা এ হত্যাকাণ্ড ও ছিনতাই কর্মকাণ্ড করেছেন বলেও জানান জেলা পুলিশের শীর্ষ এ কর্মকর্তা।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..