শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান উপজেলা নির্বাচন: হরিরামপুরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে দেওয়ান সাইদুর মির্জাগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন যে কোন দুর্যোগে পুলিশ জীবন বাজি রেখে সেবা প্রদান করছে : ডিএমপি কমিশনার নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি যে কোন মূল্যে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে : সিইসি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ তাড়াইলে দুই জুয়ারী গ্রেফতার

খেতাব হারালেন ব্রিটিশ রাজপুত্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৬০২৩ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রে এক যৌন নিপীড়নের মামলায় বিচারের সম্মুখীন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছোট ছেলে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর রাজকীয় ও সামরিক খেতাব কেড়ে নেয়া হয়েছে।

এর মানে ৬১ বছর বয়স্ক ডিউক অব ইয়র্ক অ্যান্ড্রু এখন থেকে তার আনুষ্ঠানিক ‘হিজ রয়্যাল হাইনেস’ খেতাব ব্যবহার করবেন না এবং একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে তার বিরুদ্ধে আনা মামলা লড়বেন।

নিউইয়র্কের এক আদালত যৌন হয়রানির মামলায় প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া চালানোর সিদ্ধান্ত দেয়ার পর প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেয়া হল। তবে প্রিন্স অ্যান্ড্রু তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন।
তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগটি আনেন ভার্জিনিয়া জুফ্রে নামে এক নারী।

তিনি অভিযোগ করেছেন, ২০০১ সালে তার বয়স যখন ১৭ তখন প্রিন্সের বন্ধু জেফ্রি এপস্টিন যৌনকর্ম করানোর জন্য তাকে নিউইয়র্কে পাচার করেন এবং প্রিন্স অ্যান্ড্রু তাকে যৌনকর্মে বাধ্য করেন।

ডিউক অফ ইয়র্কের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানাচ্ছে, প্রিন্স অ্যান্ড্রু মামলা চালিয়ে যাবেন।

সূত্রটি বলছে, বুধবার নিউইয়র্কের আদালত এই অভিযোগের ভিত্তিতে শুধু বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এটি বাদীর অভিযোগের সারবস্তু সম্পর্কিত কোনো রায় নয়।

প্রিন্স অ্যান্ড্রুর যেসব রাজকীয় দায়িত্ব ছিল, সেসব রানির অধীনে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং এসব দায়িত্ব রাজ পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে বণ্টন করা হবে।

রাজপরিবার বিষয়ক বিবিসির সংবাদদাতা শন কখলান লিখেছেন, এসব ঘটনায় বাকিংহাম প্যালেসের পদক্ষেপ ছিল তৎক্ষণাৎ এবং নির্মম।

প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে আনা যৌন নিপীড়নের মামলা থেকে যে ফলাফল বেরিয়ে আসতে পারে, রাজ পরিবার তা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চাইছে।

বিবিসি সংবাদদাতা লিখেছেন, প্রিন্স অ্যান্ড্রুর রাজকীয় খেতাব এবং সামরিক শিরোপা রাজপরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। এর অর্থ হল, মামলার ফলাফল যাই হোক না কেন-এসব খেতাব আর কখনই তার কাছে ফেরত আসবে না।

ফলে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সরকারি ভূমিকার দরোজাগুলো একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ডিউক অফ ইয়র্কের সামরিক খেতাব প্রত্যাহারের বিষয়ে তাদের কোনো মন্তব্য নেই। এটা রাজপ্রাসাদের নিজস্ব বিষয়।

রাজতন্ত্র-বিরোধী প্রেশার গ্রুপ রিপাবলিক বৃহস্পতিবার একটি চিঠি প্রকাশ করেছে। এতে রাজকীয় নৌ, বিমান ও সেনাবাহিনীর ১৫০ জন সাবেক সৈনিক প্রিন্স অ্যান্ড্রুর আটটি সামরিক খেতাব প্রত্যাহার করার জন্য রানির প্রতি আহ্বান জানান।

এই চিঠিতে স্বাক্ষর-দাতাদের একজন হলেন ফার্স্ট রয়্যাল ট্যাংক রেজিমেন্টের সাবেক লেফটেন্যান্ট স্টুয়ার্ট হান্ট।

প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সামরিক খেতাব ফেরত নেয়ার সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তিনি একথাও বলেছেন যে আরও আগেই বিষয়টির মীমাংসা করা দরকার ছিল।

প্রিন্স অ্যান্ড্রু রাজকীয় নৌবাহিনীতে ২২ বছর কর্মরত ছিলেন। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ফকল্যান্ড যুদ্ধে তিনি একজন হেলিকপ্টার পাইলট হিসেবে অংশ নেন।

বাকিংহাম প্যালেসের এই সর্বশেষ ঘোষণায় এখন তার প্রায় সব সামরিক খেতাব প্রত্যাহার করা হলো। এর মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীতে নয়টি শীর্ষ অধিনায়কের পদ।

এছাড়া কানাডা, নিউজিল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে অ্যান্ড্রু যেসব সম্মানসূচক খেতাব ব্যবহার করে আসছিলেন, সেগুলোও ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রিন্সের সাথে সম্পর্ক রয়েছে এমন কিছু দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সংস্থাও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তবে বেশ ক’টি গলফ ক্লাব, স্কুল ও সাংস্কৃতিক ট্রাস্টসহ ডজনখানেক প্রতিষ্ঠানে তার রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকের পদ এখনও বহাল রয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..