আমি বিধবা মানু এই চরে আবাসনের ভাঙা ঘরে থাহি, দিনকুলে কেই বাইচ্চা নাই। শীতের কালে বেমালা কষ্ট ওয়। কত মেম্বার চেয়ারম্যান গো কইছি একটা কম্বল দিতে, কয় আইয়ে নাই আইলে পাইবেন। আল্লায়দিলে এহন একখান কম্বল পাইছি কোন রকম ঠান্ডির (ঠান্ডা) তোন বাচতে পারমু। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের দূর্গম মাঝের চর প্রজেক্ট-২ আবাসনের বাসিন্দা মরিয়ম বিবি।
তার মতো ফয়জুন বিবি বলেন, আমাগো এই চরের চার পাশেই নদী। শীত কালে বাতাসের লাইগা ঘরে হাওন যায় না। ছোড ছোড পোলাইনডির ঠান্ডা, কাসঁ কমেই না। এহন এই কম্বল দিয়া নিজে না হোক পোলাইনডিরে একটু ঠান্ডার তোনে বাঁচাইতে পারমু।
জানা যায়, তার মতো এই মেঘনা নদীর দূর্গম চরের প্রায় ৫ শতাধিক অসহায় শীতার্থ পরিবারের মাঝে স্থানীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠান কাঞ্চন-ফাতেমা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ফাহামিনা মাসুদ শুভ্রার উদ্যেগে এই কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ইসতিহাক বাবুসহ প্রতিষ্ঠানটির সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্টরা ছাড়াও স্থানীয় গন্যমানয় ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিথ ছিলেন।
ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ইসতিহাক বাবু জানান, আমার চাচা কাঞ্চনমিয়া ও চাচি ফাতেমার নামে এই ফাউন্ডেশনের নামকরণ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভোলায় অসহায় সুবিধাবঞ্চিতদের মুখে হাসি ফোটানো জন্য নানান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, প্রত্যন্ত এলাকার শীতার্থ মানুষের কষ্ট লাঘবেই আজকের এই আয়োজন। আমরা কাঞ্চন-ফাতেমা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করছে আমাদের এই প্রতিষ্ঠান। এর আগেও করোনাকালীন সময়ে অসহায় মানুষের পাশে ছিলাম। সমাজের অসচ্ছলদের মাঝে সেলাই মেশিন ও ভ্যান গাড়ি সহ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।