শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে : মৎস্য উপদেষ্টা কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় : আইজিপি নির্বাচন যত দেরি হবে ততই ষড়যন্ত্র হবে : তারেক রহমান কায়কোবাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মুরাদনগরে বিএনপির প্রস্তুতি সভা কিশোরগঞ্জে ’দুর্বার প্রজন্মের’ শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুমকি হিন্দু সম্প্রদায়ের রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান

বিজয়ের ৫০ বছরেও অরক্ষিত শহীদের স্মৃতিফলক!

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৫৯৬৮ বার পঠিত

বিজয়ের ৫০ বছরেও অরক্ষিত হয়ে পড়ে আছে ভোলার লালমোহনের ১০ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিফলকটি।
লালমোহন পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র থানার মোড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে ও প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশে দেশের এই দশ সূর্য সন্তানের নাম সংবলিত স্মৃতিফলকটি অবস্থিত। বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন-শহীদ তানসেন মৃধা, শহীদ আব্দুল জলিল, শহীদ ছলেমান, শহীদ নুরুল ইসলাম, শহীদ রফিকুল ইসলাম, শহীদ মো. জামাল, শহীদ আ. শহীদ, শহীদ আবুল হোসেন, শহীদ আমির হোসেন ও শহীদ আবু ছায়েদ। দীর্ঘদিন ধরে ফলকটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অবৈধ সিএনজি ও ইজিবাইক স্ট্যান্ড। পাশেই দখলে নিয়েছে পুরোনো শীতবস্ত্রের দোকানিরা। ফলকটি স্ট্যান্ডের পেছনে ও আড়ালে পড়ে যাওয়ার সুযোগে এখানে মলমূত্রত্যাগ করছে পথচারীরা। ফলে দূষণ ও অরক্ষিত হয়ে অস্তিত্ব হারানোর শঙ্কায় রয়েছে স্মৃতিফলকটি। আর এই ফলকটিকে রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও যেন উদাসীন। ১৯৯৩-৯৪ সালের দিকে লালমোহন পৌরসভা থেকে এই দশ বীর শহীদদের নাম সংবলিত স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করা হয়েছিল। উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের সভাপতি আনম শাহ জামাল দুলাল বলেন, ‘বিজয়ের ৫০ বছরে এসেও বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এমন অবজ্ঞা আমাদের ব্যথিত করে।’
লালমোহন পৌরসভার মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন বলেন, ‘শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিফলকটি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে কোনো দাবি-আবেদন পাইনি। তবে স্মৃতিফলকটি যেখানে আছে, এখানেই ভালো আছে। কারণ ফলকটি ব্যস্ততম এলাকায় হওয়ায় বীর শহীদদের নামগুলো সাধারণ মানুষসহ নতুন প্রজন্মের চোখে পড়ছে।’ পথচারীদের মলমূত্রত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দিনের বেলায় কেউ এমন সাহস করে না। তবে রাতের আঁধারে হতে পারে।’

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..