ভোলার মনপুরায় সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে ১নং মনপুরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, মারধর ও লুটপাঠ করা হয়। আ’লীগের চেয়ারম্যান নমিনেশন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হামলা আলাউদ্দিন নিজেই চালায় বলে অভিযোগ করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আমানত উল্যাহ আলমগীর।
এই সময় হামলাকারীরা চেয়ারম্যানের মা, ভাই বিআরডিবি চেয়ারম্যান ও অপরভাই যুবলীগ সম্পাদকসহ ১০জনকে বেদম মারধর করে আহত করে। এছাড়াও চেয়ারম্যান সমর্থিত ৩ ব্যবসায়ীর দোকাপাঠ ভাংচুর করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদের নের্তৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এই ঘটনায় এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে। যে কোন সময় ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ারটেক সংলগ্ন আলমগীর চেয়ারম্যানের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। পরে চৌমুহনী বাজার ও নতুন রামনেওয়াজ বাজারে চেয়ারম্যান সমর্থিত তিন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠা হামলা চালানো হয়। হামলায় আহতরা হলেন, চেয়ারম্যানের মা ফাতেমা খাতুন, ভাই বিআরডিবি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, অপর ভাই ইউনিয়ন যুবলীগ সম্পাদক মিজান, জিহাদ হোসেন, অভি, মোঃ কাসেম, শাকিব, তসলিম, গিয়াস ও বেলাল। এদের সবার বাড়ি উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
এছাড়াও চেয়ারম্যান সমর্থিত ভাংচুরকৃত তিন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হলো, চৌমুহনী বাজারের শাকিব ইলেকট্রনিক্স, নতুন রামনেওয়াজ বাজারে গিয়াসের কসমেটিক্স ও রুবি বস্ত্র বিতান। প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানান, সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ২০-২৫ জন ক্যাডার নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর ভাইয়ের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর সহ মারধর করে। এদের মধ্যে অনেকে বিএনপি সমর্থিত স্থানীয় ক্যাডার। এই সময় ওই সমস্ত লোকজন চেয়ারম্যানের দুই ভাই ও বৃদ্ধ মাকে মারধর করে। এই ব্যাপারে মনপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানত উল্যাহ আলমগীর জানান, যুবদল থেকে আ’লীগ যোগদান করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে লাঠিয়াল বাহিনীর প্রধান আলাউদ্দিন। এখন সে আ’লীগের টিকেট পেতে ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুঠপাঠ সহ আমার মা ও ভাইকে মারধর করে। তিনি আরও জানান, এর আগে এই লাঠিয়াল বাহিনীর নেতা আলাউদ্দিন হিন্দুদের জমি দখল ও এক শিক্ষককে গলায় রসি দিয়ে ঘুরানোর অপরাধে জেল খেটেছে।
এই ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পায়নি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। কেউ অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।