বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ডিএসইসি’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাইজিং বিডির আরিফ আহমেদ কিশোরগঞ্জে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের র‍্যালি অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের হাওরে কৃষকদের মাঝে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের শরবত ও ঠান্ডা পানি বিতরণ ডিএসইসি’র সভাপতি অনিক সম্পাদক জাওহার ইকবাল মির্জাগঞ্জে কৃষি জমিতে সেচ দিতে গিয়ে যুবক ফিরলো লাশ হয়ে আকাশ: কবি মাহফুজ রকি মির্জাগঞ্জে প্রাইমারি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত শান্তা মনি দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান উপজেলা নির্বাচন: হরিরামপুরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে দেওয়ান সাইদুর মির্জাগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

দেশীয় খেলা চালুর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১১ মে, ২০২২
  • ৫৯০৭ বার পঠিত
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশীয় খেলা চালুর নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ডাংগুলি, সাত চারা, গোল্লাছুট থেকে শুরু করে হাডুডুসহ যে সব খেলাগুলো প্রচলিত ছিল, সেগুলো আবার চালু করতে হবে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এসব খেলা চালুর ব্যাপারে যে ধরনের সহযোগিতা দরকার, সরকার তা করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ঘরে বসে বেশিরভাগ শিশু মোবাইল, ল্যাপটপ ও আইপ্যাড নিয়ে সময় কাটাচ্ছে, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই অমঙ্গলজনক। তাই হাত-পা ছুঁড়ে খেলাধুলার প্রতি উদ্যোগী হতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার ‘জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী জেলায় জেলায় তৈরি করা স্টেডিয়াম সারা বছর ব্যবহারের লক্ষ্যে সকল খেলার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এসব স্টেডিয়ামে ক্রিকেট পিচ থাকলে তা সংরক্ষণ করার বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, সাঁতার, হকিসহ বিভিন্ন খেলার সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় খেলাগুলো, যেমন—ডাংগুলি, সাত চারা গোল্লাছুট থেকে শুরু করে হাডুডুসহ যে সব খেলাগুলো প্রচলিত ছিল, সেগুলো আবার চালু করতে হবে। আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে। আমাদের অনেক নতুন নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টি হচ্ছে এবং তারা জাতীয় পর্যায়েও বিশেষ অবদান রাখছে। এদিকে সকলে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন। এ ব্যাপারে যে ধরনের সহযোগিতা দরকার, সরকার তা করে যাচ্ছে। এ খেলাধুলার বিষয়ে আমাদের আরও উদ্যোগী হতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের শিশুরা, এখন তো সব ফ্ল্যাটে বাস করে, ফ্ল্যাটে বাস করে করে তারা ফার্মের মুরগির মতোই হয়ে যাচ্ছে। এখন তো মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ আর আইপ্যাড এগুলো ব্যবহার করে সারাক্ষণ ওগুলোর মধ্যে পড়ে থাকে। এটা আসলে মানসিকভাবে, শারীরিকভাবে সুস্থতার লক্ষণ না। বাবা-মা, অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, কিছু সময়ের জন্য হলেও সন্তানরা যাতে হাত-পা ছুঁড়ে খেলতে পারে, সে বিষয়ে আপনাদের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। আর প্রত্যেকটা এলাকায় খেলার মাঠ থাকা একান্তভাবে প্রয়োজন।’

শিশুদের খেলায় উৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খেলাধুলা এক ধরনের শরীরচর্চা। এতে আমাদের ছেলেমেয়েরা শারীরিক ও মানসিকভাবেও যথেষ্ট উপকৃত হয়। সেই সঙ্গে আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে অনেক ধরনের খেলাধুলা ছিল, সেগুলো আবার সচল করতে হবে। এ জন্য আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতা, আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতা এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতাগুলো যেন ব্যাপকভাবে চলে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

রাজধানী ঢাকায় খেলাধুলার জায়গা কম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কিছুটা উদ্যোগ নিয়েছি প্রত্যেক এলাকাতেই যেন খেলার মাঠ থাকে। যেখানে খালি জায়গা পাচ্ছি খেলার মাঠ করে দিচ্ছি। কারণ, প্রত্যেকটা এলাকাতেই খেলার মাঠ থাকা একান্তভাবে প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে সংসদ ভবনের পাশে বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের খেলাধুলার জন্য একটা একাডেমিও নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে খেলাধুলার উন্নয়নের ওপর একটি প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশের ক্রীড়াঙ্গনে তাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮৫ জন ক্রীড়া ব্যক্তি ও সংগঠককে এই মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে খেলাধুলার সুবিধাদির উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে দেশের ১২৫টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১৮৬টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে দেশের অবশিষ্ট ১৭১টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ চলমান রয়েছে। তবে আমি মনে করি, এ ব্যাপারে যাতে আর সময় না নেওয়া হয়, সেটা দেখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর সরকার পর্যটন জেলা কক্সবাজারের দৃষ্টিনন্দন আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম ও ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ করে দিচ্ছে। সিলেটেও আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে এবং দুটি জায়গাতেই পাহাড়ের নৈসর্গিক দৃশ্য এবং সমুদ্রের পাশটি উন্মুক্ত রেখেই তা করা হচ্ছে।’

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..