নতুন জঙ্গি সংগঠন ’তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ (আল-জিহাদী)’র প্রধান জুয়েলসহ সক্রিয় তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
এটিইউ জানিয়েছে, গত বুধবার থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত রাজধানীর ভাসানটেক, বাগেরহাট ও জয়পুরহাট পৃথক তিনটি এলাকায় একটানা সাড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে নব গঠিত জঙ্গি সংগঠনের ৮ টি পতাকা উদ্বার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জঙ্গিরা হলেন- বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার আজরাপাড়া- দিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ মোল্লার পুত্র দলের প্রধান (শীর্ষ নেতা) মো. জুয়েল মোল্লা (২৯), জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার ১৬৯, সরদারপাড়া (স্কুল পাড়া) মৃত আশরাফুল ইসলামের পুত্র মো. রাহুল হোসেন (২১) ও একই থানার মৃত মোসছেদ আলীর পুত্র মোঃ গাজিউল ইসলাম (৪০)।
আজ দুপুরে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) পুলিশ সুপার (অপারেশনস্) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বাসসকে এসব তথ্য জামান।
এটিইউ বলছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর এন্টি টেররিজম ইউনিট’র অপারেশন উইংয়ের একাধিক টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিভক্ত হয়ে সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের চিহ্নিতপূর্বক গ্রেফতার করতে দেশব্যাপী অভিযান শুরু করে। প্রথমে বাগেরহাটের রামপাল থেকে গ্রেফতার হয় নব গঠিত ’তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ (আল-জিহাদী)’ নামে উগ্রবাদী সংগঠটির শীর্ষ নেতা মো. জুয়েল মোল্লাকে(২৯) । ইতোপূর্বে সে উগ্রবাদী কাজে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে ছিল। এসময় তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় নব সৃষ্ট সংগঠটির ৮টি পতাকা।
পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থেকে গ্রেফতার হয় তার সহযোগী মো. রাহুল হোসেন (২১)। রাহুল এ নতুন জঙ্গী সংগঠনের দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি। সে প্রচার-প্রচারণা, সদস্য সংগ্রহ ও বোমা ও অস্ত্র সম্পর্কিত বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল। পরে রাহুলের দেয়া তথ্য মতে এটিইউ’র একই টিম রাজধানীর ভাসানটেক এলাকা থেকে মো. গাজীউল ইসলাম (৪০)-কে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত গাজীউল তথাকথিত উগ্রবাদী সংগঠনের জন্য অর্থ ও সদস্য সংগ্রহের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল।
এটিইউ পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে তারা নতুন উগ্রবাদী সংগঠন এবং ’সাহেবে- কিরান বারাহ (দারুল জান্নাত)’ নামে সিক্রেট অনলাইন গ্রুপ ব্যবহার করে অসংখ্য সদস্য সংগ্রহ করেছে। তাদের কেউ কেউ নিষিদ্ধ ঘোষিত ’আনসার আল ইসলাম’ বা ’আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের’ অনুসারী হলেও নতুন সংগঠন গঠন করে নিজস্ব পরিকল্পনায় নিজেদের মত করে দেশব্যাপী সশস্ত্র হামলা পরিচালনার পরিকল্পনা করে আসছিল।
এটিইউ বলছে, ইতোমধ্যে অসংখ্য যুবক এ সংগঠনের সদস্য পদ গ্রহন করেছে। এন্টি টেররিজম ইউনিট তাদের নামের তালিকা ধরে গ্রেফতারের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।