শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মির্জাগঞ্জে বিএনপির তিন নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র ও বিএনপি সমার্থক শব্দ : বিএনপি মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টার সাথে নেপালের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ জনগণের সঙ্গে থেকে বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করুন : তারেক রহমান জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে একশ’ কোটি টাকার অনুদান ২শ’ কোটি ডলারের বেশি নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকর পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ, দেখার যেন কেউ নেই মুরাদনগরে গোমতীর নদীর পানি কমার সাথে সাথে ভাঙনে দিশেহারা মানুষ মির্জাগঞ্জে ইউপি সদস্যের দাপট

ঘুষ দুর্নীতির গডফাদার উমেদার লোকমান এখন কোটিপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৫৮০৭ বার পঠিত

ঢাকা রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের উমেদার মো. লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

দলিল দাতা-গ্রহিতা ও দলিল লেখকদের জিম্মি করে প্রতিদিন অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।এছাড়াও ওমেদার লোকমান হোসেন সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সহকারী, পিওন ও নকল নবীশদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে রেখেছে। ফলে তার বিরুদ্ধে কেউ কোন টু শব্দ করার সাহস পাচ্ছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৪ সালে উমেদার মো. লোকমান হোসেন ঢাকা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ৬০ টাকা দৈনিক মুজুরিতে সাব রেজিস্ট্রারের বিভিন্ন ফরমাইশ ( আদেশ) পালনের জন্য চাকুরি নেন। লোকমান হোসেন উমেদারের চাকুরি পাওয়ার পর সে অত্র অফিসটি আস্তে আস্তে নিজের কজ্বাব নিয়ে নেয়।

শুরু হয় তার দাপট সে অত্র অফিসের সহকারী থেকে শুরু করে টিসি মোহরার, মোহরার, সবাইকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কর্তৃত্ব দেখাতে শুরু করে। মাত্র ৭-৮ বছর ৬০ টাকা মুজুরিতে চাকুরি করা উমেদার লোকমান হোসেন এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। অথচ ৭-৮ বছর আগে লোকমান হোসেন তার মায়ের সাথে ঢাকা রেজিস্ট্রেশন অফিসের পীছনে ভাতের হোটেল করতেন। লোকমান হোসেন তার মায়ের সাথে ঢাকা রেজিস্ট্রশন কমপ্লেক্স কর্মরত বিভিন্ন ব্যক্তিদের দুপুরের খাবারের জন্য ভাত পৌছে দিতো।

পরে সে জেলা রেজিস্ট্রার ও বিভিন্ন নেতাদের ম্যানেজ করে সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে লোকমান হোসেন উমেদারের চাকুরি নেয়।

তার কিছুদিন পরই ওমেদার লোকমান নানাভাবে জনহয়রানী করে দুর্নীতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া শুরু করে। বর্তমানে সে নিজেকে অনেক বড় অফিসার মনে করে । কারণ সে সহকারীর টেবিলের পাশে বসে দলিল চেক করার নামে দাতা-গ্রহীতাকে বিভিন্ন ধরনের খুটিনাটি ভুল দরে দাতা- গ্রহীতাদের জিম্মি করে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ আদায় করে থাকে।

অথচ নিয়মানুযায়ী একজন উমেদারের কাজ হলে সাব রেজিস্ট্রারের বিভিন্ন আদেশ পালন করা । কিন্ত বাস্তবে তা হচ্ছে না, উমেদার লোকমান হোসেন নিয়মের বাহিরে গিয়ে সে দলিল চেক করে । আর সহকারী যার কাছ মূলত দলিল চেক করা সেই সহকারী পুতুলের মতো বসে থাকে। কারণ তাকে উমেদার লোকমান হোসেন দলিল চেক করতে দেন না।

তাই তিনি দলিল চেক করতে পারেন না বলে জানান। তাই সাধারন দলিল লেখক, জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা দাতা-গ্রহীতাদের দাবী বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার এই অনিয়ম, জনহয়রানি সকল দুর্নীতির বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ নিবেন কি?

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..