বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান মোঃ রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ মুরাদনগরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ বেতাগীতে প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম : যুবক গ্রেফতার শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত চাইব : অধ্যাপক ইউনূস সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ : অধ্যাপক ইউনূস তাড়াইলে অনৈসলামিক কর্মকান্ড বন্ধের দাবিতে ইমাম-উলামা পরিষদের প্রতিবাদ তাড়াইলে আলেম-উলামা ও তাওহীদি জনতার ব্যনারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

সরকারের নিয়ন্ত্রণে এলো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল

রিপোর্টারের নাম
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৬৭২৯ বার পঠিত
ফাইল ছবি

এখন থেকে বিদেশি কারিকুলামে পরিচালিত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো নিয়মিত মনিটরিং করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। মঙ্গলবার রাজধানীর ৩০টি স্কুলের প্রধানদের নিয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এ নির্দেশ দিয়েছেন। স্কুলগুলোকে বাংলাদেশের মূল ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

বৈঠকের বিষয় জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (স্কুল) অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান সরকার বলেন, ‘মূলত সরকারের সঙ্গে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর প্রশাসনিক সমন্বয় স্থাপনের অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ স্কুল প্রধানদের জন্য বৈঠক করা হয়েছে। এক্ষেত্রে স্কুল প্রতিনিধি যারা এসেছেন, তারা সবাই চাচ্ছেন সরকারের সঙ্গে তাদের সমন্বয় তৈরি করা। শিগগিরই তাদের সঙ্গে আরও একটি ওয়ার্কশপ করা হবে। সেখানেও বিস্তারিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি অর্জন করা শিক্ষার্থীরা যাতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম নির্দেশনা দিয়েছেন।’

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সভায় স্কুল পরিচালনার গেজেট, বিধি-বিধান, সিলেবাস, কারিকুলাম, পরিচালনা পর্ষদ ও নীতি-নৈতিকতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রধানরা জানান, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের নির্দিষ্ট কারিকুলামের বাইরে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ও বাংলা ভাষার পাঠ্যবই পড়ানো হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শেখানো হয়, জঙ্গিবাদবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনা হয় না।

দেশের সবগুলো জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদসহ নানা অপকর্মের কুফল সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নির্দেশের অংশ হিসেবে সব ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে সততা স্টোর চালু করা হয়েছে। যাতে নতুন প্রজন্ম সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে এবং অল্প বয়স থেকেই দুর্নীতি বিরোধী নৈতিকতায় উদ্বুদ্ধ হয়। কোনো বিক্রেতা ছাড়াই সসতা স্টোর থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় বই, খাতা, পেন্সিল কিনছেন। ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের পছন্দমতো প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে ক্যাশ বাক্সে দাম রেখে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা একে ভালো উদ্যোগ বলে স্বাগত জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন স্কুল প্রধানরা।

এর বাইরে পরীক্ষার কক্ষে যদি নকল কিংবা অসদুপায় অবলম্বন করা হয়, তাতে শিক্ষার্থীর নিজের ক্যারিয়ারের জন্য ক্ষতি- এমন বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এরফলে পরীক্ষার হলে পরিদর্শক ছাড়াই ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিচ্ছে।

সভার বক্তব্য শুনে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের কারণে রাজধানীতে যানজট হচ্ছে। যানজট নিরাসনে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিজস্ব স্কুলবাস সার্ভিস চালুর নির্দেশ দেন তিনি। সেইসঙ্গে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ম্যাপিং জোন, স্কুলগুলোর প্রধানদের নিয়ে সভা ও মাউশির কর্মকর্তাদের নিয়মিত মনিটরিং করতেও নির্দেশনা দিয়েছেন।

সভায় স্কলাস্টিকা, ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড স্কুল, অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজ, জন ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, অ্যাপল ট্রি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, কানাডিয়ান টিলিনিয়াম স্কুল, সেন্টমেরি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, রিভারভিউ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, অস্ট্রেলিয়ান স্কুল, গ্রিন ডেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, লন্ডন ইন্টান্যাশনাল স্কুল, সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সেন্ট পিটার্স স্কুল অব লন্ডন, ব্রিটিশ আমেরিকান কলেজ, ব্রিটিশ কলোম্বিয়া স্কুল, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, গ্রিনফিল্ড স্কুল, লরেটো স্কুল এবং লাইসিয়াম ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান বা পরিচালকরা অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, ইংলিশ মিডিয়াস স্কুলগুলো কি শেখাচ্ছে, কারা শিক্ষক, কত টিউশন ফি তা সঠিকভাবে জানে না কোনো মন্ত্রণালয় বা সরকারের কোনো সংস্থা। অথচ এখানে যারা পড়াশোনা করছে তাদের শতকরা ৯৯ শতাংশ বাংলাদেশি। বিগত দিনে কয়েকটি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বাস্তবতায় সরকার নতুন এ উদ্যোগ নিয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..