শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সড়ক ও জনপথ কর্মকর্তার ব্যাংকে শত কোটি টাকার লেনদেন হরিরামপুরে ৪ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ ডিপিএইচই’র প্রাক্কলনিক আনোয়ারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিলেন শি জিনপিং বেনজীর-মতিউর-এর কুশপুতুল দাহ করায় হুমকি : উদ্বেগ প্রকাশ কোটা সমস্যার সমাধান করার দাবি জাতীয় শিক্ষাধারার হরিরামপুরে পদ্মা তীর রক্ষা বাঁধে ধস, জনমনে আতংক মুরাদনগর শ্রীকাইলে ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে হুরোয়া চ্যাম্পিয়ন তাড়াইলের কথিত পীর লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ বর্ষার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে নৌকার চাহিদা

অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করুন

রিপোর্টারের নাম
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৬৪০৫ বার পঠিত
ফাইল ছবি

বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে অগ্নিসংযোগের দায়ে যে ২৯ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং সিলেটের মহানগর বিচারিক হাকিম আদালত যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন, তাঁদের অধিকাংশই অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় সরকারপন্থী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ছিলেন, অন্যরা সরকারি দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। উল্লেখ্য, ঘটনার পরপরই ইসলামী ছাত্রশিবিরের দুই কর্মী ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে আদালতে দুটি পৃথক নালিশি মামলা করেছিলেন; আর ছাত্রাবাসটির তত্ত্বাবধায়ক শাহপরান থানায় মামলা করেছিলেন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে। এই তিনটি অভিযোগ একীভূত করে আদালত পুলিশকে ঘটনা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পুলিশ ও সিআইডি দুই দফায় তদন্ত করে, তারপর অধিকতর তদন্ত করে পিবিআই। ওই সব তদন্তেই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘প্রমাণ পাওয়া যায়নি’ বলে তাঁদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করা হয়।

পুলিশের এই তিনটি সংস্থার ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হয় এবং এর ফলে ছাত্রাবাসে অগ্নিসংযোগকারীদের পরিচয় বেরিয়ে আসে। এটা এখন স্পষ্ট যে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষগুলোর কথিত তদন্তে সত্য উদ্‌ঘাটনের দায়িত্ব এড়ানো হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনা থেকে। রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের বিচার করার ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ক্ষমতাসীন দল কিংবা তাদের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ছাড় দেয়—সিলেটের এ ঘটনা তার একটা সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত।

কিন্তু এই চর্চা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এর ফলে আইনের শাসন দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে, বিচারহীনতার পরিবেশ পরিব্যাপ্ত হচ্ছে এবং অপরাধ করে শাস্তির ঊর্ধ্বে থাকা যায় এমন ধারণা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা শুধু রাজনৈতিক সংস্কৃতির পক্ষেই ক্ষতিকর হচ্ছে না, পেশাদার অপরাধবৃত্তি প্রসারের পথও খুলে দিচ্ছে। অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হচ্ছে।

এসবের অবসান ঘটানো দরকার। শুধু দেশের স্বার্থে নয়, ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির স্বার্থেও। ছাত্রাবাসে অগ্নিসংযোগের দায়ে যে ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাঁরা এখন যেখানেই থাকুন, যে সংগঠনই করুন না কেন, সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..