পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদকগ্রহণের অভিযোগ ডোপ টেস্টে প্রমাণিত হওয়ায় এখন পর্যন্ত ৩৭ জন চাকরি হারিয়েছেন। পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন্স মিডিয়া অ্যান্ড প্লানিং) মো. হায়দার আলী খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হায়দার আলী খান বলেন, ‘পুলিশের বিরুদ্ধে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কোনো অভিযোগ থাকলে আমরা তদন্ত করি। তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। যদি আমলযোগ্য অপরাধ হয়, তাহলে মামলা হয়। এ ছাড়া অপরাধ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা চালু থাকে।’
মো. হায়দার আলী খান আরও বলেন, ‘নিয়োগের সময়ও ডোপ টেস্ট চালু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। কোনো সদস্য মাদকাসক্ত হয়ে আমাদের সার্ভিসে যোগদান করে কি না, সেটি আমরা প্রথমেই চেক করে নিই। পরবর্তী সময়েও আমাদের বিভিন্ন ইউনিট ডোপ টেস্ট করে থাকে।’
কাউকে ছাড় দেওয়া হয় না উল্লেখ করে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় এখন পর্যন্ত পুলিশের একটা বড় সংখ্যক সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডোপ টেস্টে মাদকগ্রহণের প্রমাণ মেলায় এখন পর্যন্ত মোট ৩৭ জন সদস্য চাকরি হারিয়েছেন।’