মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ কোন অঙ্গরাজ্য নয় : মোমিন মেহেদী বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন : বকেয়া দেড় কোটি টাকা আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ দেওয়া হয়েছে : আইজিপি জাতীয়করণের দাবিতে মাধ্যমিকের শিক্ষকদের মহাসমাবেশ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম করে গড়ে তোলা হচ্ছে পলাশবাড়ীতে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ পাকা ঘর হস্তান্তরের লক্ষ্যে প্রেস বিফ্রিং নিখোঁজের দুইদিন পর গোমতী নদী থেকে আনসার সদস্যের লাশ উদ্ধার বাঁশকাইট পীতাম্বর জুবিলী হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত সাত শিক্ষকের বিদায়ী সংবর্ধনা ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ মুরাদনগরে জমকালো আয়োজনে ‘দৈনিক গণ মানুষের আওয়াজ’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন গাইবান্ধায় ঘাঘট নদীর পাশ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

ভাই বলায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা

পটুয়াখালী (মির্জাগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৫৮৫১ বার পঠিত

স্যার না ডেকে ভাই বলে সম্মোধন করায় স্থানীয় এক সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপে গেলেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন।

আজ সোমবার  বেলা ১১টার দিকে রিয়াজ কাজী নামে এক ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধনের বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে যান মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তরের মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সাদ্দাম। এ সময় নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেনকে ভাই বলে সম্মোধন করে সমস্যাটির সমাধান করার করণীয় বিষয়ে জানতে চাওয়ায় ক্ষেপে যান নির্বাচন কর্মকর্তা।

ওই সময়ে তিনি সাংবাদিককে বলেন, আমাকে ভাই বললেন কেন? আমি আপনার কেমন ভাই? খালাতো ভাই না চাচাতো ভাই? এসব বলে তিনি ওই সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। পরে তিনি পরিচয়পত্রের সংশোধনের ব্যাপারে কোনো কিছুই না বলে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যান।

বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় সংবাদকর্মী ও সুশীল সমাজের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

ঘটনার ব্যাপারে সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ভাই বলে সম্মোধন করায় তিনি আমার ওপর ক্ষেপে গিয়ে নানান অশোভন আচরণ করেছেন। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেছি।

উপজেলা নির্বাচন অফিসারের অশোভন আচরণের বিষয়ে মির্জাগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মজিবুর রহমান বলেন, আসলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজটি ঠিক করেননি। তাদের কাছে মানুষ সেবা পেতে চায়। তার আচরণে মনে হচ্ছে তিনি জনগণের কাছ থেকে শুধু স্যার সম্মোধন শুনতেই এসেছেন। তার বক্তব্য প্রত্যাহার করা উচিত।

এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন সাংবাদিকের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি তাকে ভালো চিনি না। তিনি আমাকে ভাই বলে সম্বোধন করেছেন।

পটুয়াখালী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি শাহানুর খান বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। মির্জাগঞ্জ নির্বাচন কর্মকর্তা কেন এ রকম অশোভন আচরণ করেছেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হবে।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. তানিয়া ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..