মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে মুখস্ত শিক্ষার ওপর নির্ভরতা কমাতে পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী কিশোরগঞ্জে তীব্র দাবদাহে ইসলামী যুব আন্দোলনের হাতপাখা বিতরণ দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধে সকলকে দায়িত্বশীল হতে হবে : বিচারপতি নিজামুল হক গলাচিপা ও দশমিনায় প্রকাশ্যে নিধন হচ্ছে রেনু পোনা,কথা বলতে নারাজ কর্তৃপক্ষ ডিএসইসির নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ বেলা অবেলা : স্বপ্না রহমান ডিএসইসি’র নতুন সভাপতি ডিবিসি’র মুক্তাদির অনিক ডিএসইসি’র সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশের আলো’র জাওহার ইকবাল খান ডিএসইসি’র সাংগঠনিক সম্পাদক দৈনিক উত্তরদক্ষিণে’র শহীদ রানা

ভাঙন আতংকে যমুনা পাড়ের মানুষ

এনামুল হক রাঙ্গা (বগুড়া) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩
  • ৫৮২৬ বার পঠিত

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। অব্যাহতভাবে পানি কমতে থাকায় অতিরিক্ত স্রোতে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে ভাঙছে যমুনা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের বাঁধ। এতে জনমনে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

গতকাল সোমবার সকালের দিকে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের পুকুরিয়া-ভূতবাড়ি এলাকায় যমুনা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার অংশ বিলীন হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ভয়াবহ ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ জনবসতি এলাকা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অর্থায়নে ভাঙন রোধে যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালে প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে পুকুরিয়া-ভূতবাড়ি এলাকার ৬০০ মিটার অংশে বাঁধ রক্ষায় কাজ করা হয়।

নদীর তীরে স্লোপ করে তার ওপর জিও চট বিছিয়ে সিসি ব্লক প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এই কাজ শেষ হয়। কিন্তু কয়েক দিন ধরে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এতে পানির প্রবল স্রোত নদীতীরে আঘাত হানায় প্রকল্প এলাকায় ভাঙন শুরু হয়।

স্থানীয়রা জানান, সিসি ব্লকে বাঁধানো তীর রক্ষা বাঁধ দফায় দফায় ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। সিসি ব্লকের বিভিন্ন অংশ ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে পুরো বাঁধ এলাকা।

এরই মধ্যে নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে তীর রক্ষা বাঁধের বেশ কিছু ব্লক। তৈরি হয়েছে বড় বড় ফাটল। ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানোর ভয়ে আছেন নদীর তীরবর্তী মানুষ। ভাঙন রোধে যেভাবে কাজ হওয়া প্রয়োজন তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবু বলেন, যমুনা নদীর স্রোতের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে তীর রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এখন জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনস্থান মেরামত না করা হলে সম্পূর্ণ বাঁধই নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জরুরিভাবে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাউবো কর্মকর্তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।

বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী নিবারণ চক্রবর্তী জানান, খবর পেয়ে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পুরো ভাঙন এলাকা চিহ্নিত করে বালুভর্তি বস্তা ফেলে ও ব্লক বসিয়ে মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..