সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মির্জাগঞ্জে কৃষি জমিতে সেচ দিতে গিয়ে যুবক ফিরলো লাশ হয়ে আকাশ: কবি মাহফুজ রকি মির্জাগঞ্জে প্রাইমারি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত শান্তা মনি দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান উপজেলা নির্বাচন: হরিরামপুরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে দেওয়ান সাইদুর মির্জাগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন যে কোন দুর্যোগে পুলিশ জীবন বাজি রেখে সেবা প্রদান করছে : ডিএমপি কমিশনার নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি যে কোন মূল্যে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে : সিইসি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান

একটি দেশকে নিষেধাজ্ঞা দিতে গিয়ে সব দেশের মানুষকে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২
  • ৬০৫১ বার পঠিত
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

যুদ্ধের কারণে একটি দেশকে নিষেধাজ্ঞা দিতে গিয়ে পুরো বিশ্বের মানুষকে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নিষেধাজ্ঞাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে উল্লেখ করেছেন। পরিস্থিতির উন্নয়নে দেশের নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নবনির্মিত আটতলা ভবনের উদ্‌বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি ‘সারা বিশ্বে বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকা যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ফলে আমাদের পণ্য প্রাপ্তিতে বা যেগুলো আমরা আমদানি করি, সেখানে বিরাট বাধা আসছে। আমেরিকার এটা বিবেচনা করা উচিত, তারা যে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে, তাতে তাদের দেশের লোকেরাও যে কষ্ট পাচ্ছে, সেদিকেও তাদের দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন, তাদের আপনারা ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাচ্ছেন। কিন্তু, তারা আসলে কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সব দেশের সাধারণ মানুষ।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুদ্ধ এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।’ করোনা ও যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক দুরবস্থা চলছে, তা মোকাবিলায় সরকার দেশের নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। তবে, দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সার, জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সার প্রয়োজন, আমাদের ডিজেল প্রয়োজন, আমাদের বিভিন্ন উপকরণ প্রয়োজন, সেটা আমরা পাচ্ছি না। কাজেই এভাবে মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কী অর্থ থাকতে পারে, আমি ঠিক জানি না। একদিক থেকে বলতে গেলে এটাও তো মানবাধিকার লঙ্ঘন করার শামিল। মানুষের যে অধিকার আছে, সে অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। আমি আশা করি, একটি দেশকে শাস্তি দিতে গিয়ে বিশ্বের মানুষকে শাস্তি দেওয়া থেকে সরে আসাটা বোধহয় বাঞ্ছনীয়।’

এ সময় কূটনীতিতে বিশেষ অবদান রাখায় পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন এবং ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকিকে ‘বঙ্গবন্ধু কূটনৈতিক উৎকর্ষ পদক’-এ ভূষিত করা হয়।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..