জানা গেছে, বেতাগীর ফুলতলা মোহাম্মাদিয়া আলিম মাদ্রাসায় ২০২০ সালে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ও আবেদন গ্রহন করা হয়। সে সময় করোনা মহামারির কারনে নিয়োগটি স্থগিত হয়ে যায়, কিন্তু ২০২০ সালে যারা আবেদন করেছিলো তাদের আবেদনের সুযোগ না রেখেই এবং তাদের আবেদনের সাথে পে- অর্ডারের টাকা ফেরত না দিয়ে ১৯-০৯-২০২২ তারিখে দৈনিক সমকাল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি টি পুনরায় আবার প্রকাশ করা হয়।
মাদ্রাসাটির সভাপতি মাসুম বিশ্বাস এর আপন ভাই, চাচাতো ভাই, বোনের মেয়ে সহ টাকার বিনিময়ে নিয়োগের আগেই চুড়ান্ত করে রেখেছিলেন কেউ কেউ বলছেন পরিক্ষার আগেই নাকি সভাপতির ভাইর চাকরি হয়ে গিয়েছিলো।
গত ০৭- জানুয়ারী ২০২৩ ইং তারিখ বেলা ১১-৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরিক্ষায় নৈশ প্রহরী পদের জন্য পরিক্ষা দিয়েছিলেন ফুলতলা গ্রামের মোঃ নাজমুল মোল্লা (নাজু) (২৭) পিতা রুস্তম মোল্লা (৬০) লিখিত ও ভাইভা পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেন কিন্তু স্বজনপ্রীতির কারনেই নাকি চাকরি হয়নি বলেও অভিযোগ করেন নাজু।
জিয়াউর হক এর উপরে হামলা করেছে কেন জানতে চাইলে নাজু বলেন আমি যখন লিখিত পরিক্ষা দিতেছিলাম তখন ঐ দিনের জন্য দায়িত্বে থাকা নিয়োগ বোর্ড বাছাই কমিটির সভাপতি ও বিবিচিনি ইউনিয়ন ইসলামী আন্দোলন এর সভাপতি আবদুস সবুর, সদস্য সচিব মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও ইউনিয়ন ইসলামী আন্দোলন এর অর্থদাতা মোঃ মোস্তাফিজ রহমান, সদস্য জিয়াউল হকসহ তারা সবাই মিলে আমি যাতে পরিক্ষা ঠিক ভাবে দিতে না পারি সে জন্য আমার কাছে বারবার ডিজির প্রতিনিধি কে পাঠিয়েছে এবং আমাকে আমার পরিক্ষার আসন থেকে ৪-৫ বার উঠিয়ে অন্য স্থানে বসিয়েছে কিন্তু ৫০-৬০ জন পরিক্ষার্থী তারা সবাই কথা বলতেছে দেখাদেখি করতেছে তাদের কিছু বলেনি।
হামলা বিষয় জানতে চাইলে ভগর্নিং বডির সদস্য জিয়াউল হক বলেন আমি এই নিয়োগ বোর্ড বাছাই কমিটির একজন সদস্য ছিলাম মাত্র আর কিছুই ছিলাম না ও আমি নিজেও একটি পরিক্ষার হলের দায়িত্বে ছিলাম আমার কাছে তো কোন নাম্বার ও ছিলো না যে আমি তাকে কম নম্বর দিয়েছি তাই আমার উপরে ক্ষিপ্ত হয়েছে আমাকে হামলা করবে।
আমি গত (৯ জানুয়ারী ২০২৩ ইং) তারিখে বিকাল আনুমানিক ৪ টা ৩০ মিনিটের সময় আমার ছোট বাচ্চা কে নিয়ে ফুলতলা বাজারে কেনাকাটার জন্য গেলে পিছন থেকে এসে নাজু আমাকে মারতে থাকে। আমার কোলে থাকা বাচ্চা ও ভয় পেয়েছে।পরে ফুলতলা বাজারের লোক এসে নাজুর হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে জান সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বেতাগী থানায় অভিযোগ দিয়ে বাড়িতে আসি।
নিয়োগ পরবর্তী হামলার বিষয় জানতে মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি মোঃ মাসুম বিশ্বাস এর কাছে জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে আবার চেস্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন বিষয় টি মৌখিক ভাবে শুনেছি, মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।