রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে : মৎস্য উপদেষ্টা কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় : আইজিপি নির্বাচন যত দেরি হবে ততই ষড়যন্ত্র হবে : তারেক রহমান কায়কোবাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মুরাদনগরে বিএনপির প্রস্তুতি সভা কিশোরগঞ্জে ’দুর্বার প্রজন্মের’ শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুমকি হিন্দু সম্প্রদায়ের রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান

লঞ্চ ট্রাজেডিতে মির্জাগঞ্জের দগ্ধদের পাশে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকী

মাসুদ রানা জালাল জোমাদ্দার, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬২৪২ বার পঠিত

মাসুদ রানা জালাল জোমাদ্দার, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগে।

উক্ত লঞ্চটিতে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলি সুবিদখালী ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের শাহিন সিকদারের স্ত্রী আইরিন আক্তার রিনা (৩২), ছেলে রনি সিকদার (১৫) ও মেয়ে লিমা আক্তার (১৩)  লঞ্চের যাত্রী হিসেবে ছিলেন, তবে শাহিন সিকদারের স্ত্রী ও মেয়ে নিখোঁজ রয়েছেন এবং ছেলে রনি সিকদার (১৫) অগ্নিদগ্ধ হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া মাধবখালী ইউনিয়নের কাফুলা গ্রামের সেলিম আকনের স্ত্রী ও উত্তর কিসমত শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহানারা আক্তার (৪২) ও স্বামী সেলিম আকনও এমভি অভিযান-১০ এ ছিলেন, শিক্ষক জাহানারা আক্তার এখনো নিখোজঁ রয়েছেন এবং তার স্বামী সেলিম আকন গুরুতর দগ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে শুক্রবার বিকালে ঢাকায় নেয়া হয়েছে।

খবর পেয়ে আগে থেকেই পরিষদের গুরুত্বপূর্ন কাজে ঢাকায় অবস্থান করা মির্জাগঞ্জের উপজেলা পরিষদের মানবিক চেয়ারম্যান খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী ঢাকা থেকে সরাসরি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রনি সিকদার ও অন্যান্যদের দেখতে যান এবং তাদের পরিবারের খোজঁ-খবর নেন এবং প্রয়োজনে তাদের সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দেন।

রনি বলেন, রাত তিনটার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভাঙে সবার। আগুন দেখতে পেয়ে মা-বোনকে নিয়ে রনি লঞ্চের ছাঁদে উঠে। একপর্যায়ে আগুনের তীব্রতা বাড়লে মা ও বোনকে নিয়ে লাফিয়ে নদীতে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন রনি। কিন্ত বোন সাঁতার না জানায় রনির মা রাজি হয়নি। পরে রনির পায়ে আগুন লাগলে তিনি নদীতে লাফ দিয়ে তীরে উঠেন।

সর্বশেষ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জন। ঢাকায় পাঠানো হয়েছে ১৬ জনকে। আহত হয়েছেন শতাধিক।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..