বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
হরিরামপুরে দুই হাজার দুই পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ৬ জনের পদোন্নতি হলো সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদে পটুয়াখালী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে সচেতনতা ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত পিসিটি পরিচালনা চুক্তি বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়ক হবে: প্রধানমন্ত্রী সরিষা চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন হরিরামপুরের কৃষকরা ৪৭ জন ইউএনওকে বদলির সুপারিশে ইসির অনুমোদন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন নয় : ওবায়দুল কাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ, আগামীকাল আপিল শুরু রাজধানী ও আশেপাশের এলাকার নদী-খাল-বিল সংস্কারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞের নীরব দর্শকরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

লঞ্চ ট্রাজেডিতে মির্জাগঞ্জের দগ্ধদের পাশে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকী

মাসুদ রানা জালাল জোমাদ্দার, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬১০০ বার পঠিত

মাসুদ রানা জালাল জোমাদ্দার, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগে।

উক্ত লঞ্চটিতে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলি সুবিদখালী ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের শাহিন সিকদারের স্ত্রী আইরিন আক্তার রিনা (৩২), ছেলে রনি সিকদার (১৫) ও মেয়ে লিমা আক্তার (১৩)  লঞ্চের যাত্রী হিসেবে ছিলেন, তবে শাহিন সিকদারের স্ত্রী ও মেয়ে নিখোঁজ রয়েছেন এবং ছেলে রনি সিকদার (১৫) অগ্নিদগ্ধ হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া মাধবখালী ইউনিয়নের কাফুলা গ্রামের সেলিম আকনের স্ত্রী ও উত্তর কিসমত শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহানারা আক্তার (৪২) ও স্বামী সেলিম আকনও এমভি অভিযান-১০ এ ছিলেন, শিক্ষক জাহানারা আক্তার এখনো নিখোজঁ রয়েছেন এবং তার স্বামী সেলিম আকন গুরুতর দগ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে শুক্রবার বিকালে ঢাকায় নেয়া হয়েছে।

খবর পেয়ে আগে থেকেই পরিষদের গুরুত্বপূর্ন কাজে ঢাকায় অবস্থান করা মির্জাগঞ্জের উপজেলা পরিষদের মানবিক চেয়ারম্যান খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী ঢাকা থেকে সরাসরি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রনি সিকদার ও অন্যান্যদের দেখতে যান এবং তাদের পরিবারের খোজঁ-খবর নেন এবং প্রয়োজনে তাদের সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দেন।

রনি বলেন, রাত তিনটার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভাঙে সবার। আগুন দেখতে পেয়ে মা-বোনকে নিয়ে রনি লঞ্চের ছাঁদে উঠে। একপর্যায়ে আগুনের তীব্রতা বাড়লে মা ও বোনকে নিয়ে লাফিয়ে নদীতে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন রনি। কিন্ত বোন সাঁতার না জানায় রনির মা রাজি হয়নি। পরে রনির পায়ে আগুন লাগলে তিনি নদীতে লাফ দিয়ে তীরে উঠেন।

সর্বশেষ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জন। ঢাকায় পাঠানো হয়েছে ১৬ জনকে। আহত হয়েছেন শতাধিক।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..