নড়াইলে কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে প্রতিবেশী চাচার যাবজ্জীবন ও চাচিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় নড়াইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মহাফ হোসাইন এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত লিয়াকত মোল্লা যশোরের ঘার পাড়া থানার গ্রামের মৃত ফাজিল মোল্লার ছেলে। এবং লিয়াকত মোল্লার স্ত্রী সুফিয়া বেগম।
লিয়াকত মোল্লা পার্শ্ববর্তী বাড়ির ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরীর গর্ভবতী হয়ে পড়ে। ২০২১ সালে ৪ এ মার্চ লিয়াকত গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য কিশোরীকে ওষুধ খাওয়ায়। এতে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বড় বোন বিষয়টি বুঝতে পারে।
এসময় কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় ছয়-সাত মাস আগে বাড়ি-ফাকা-পেয়ে প্রতিবেশী চাচা লিয়াকত মোল্লা টাকার লোভ দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় কিশোরীর বড় ভাই বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় ৬মার্চ ২০২১ তারিখের লিয়াকত মোল্লা ও তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম কে আসামী করে একটি ধর্ষণের মামলা করে।
লিয়াকত মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন ও এক লাখ টাকা জরিমানা আদেশ দেন।
লিয়াকত মোল্লার স্ত্রী সুফিয়া বেগম এ কাজে সহযোগিতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত থেকে ৭ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।