বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ইউনূস-মোদি বৈঠক হতে পারে নভেম্বরে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দক্ষিণ আমেরিকায় বিরল ‘অগ্নিবলয়’ তৈরি করবে সূর্যগ্রহণ তাড়াইলে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান জোরপূর্বক জমি দখলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন,কান্নায় ভেঙে পড়ে ভুক্তভোগী পরিবার বামনায় শিক্ষকদের ১০ম ও ৯ম গ্রেডের দাবীতে মানববন্ধন পটুয়াখালীতে সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী শুরু মুরাদনগরে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু বামনায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মানহানী মামলা প্রত্যাহারের দাবী ডিআরইউর

পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সবুজ কর প্রণোদনার কথা ভাবছে সরকার : শাহাব উদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৫৯২৪ বার পঠিত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশের উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে পরিবেশ আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব যন্ত্রপাতি ও সম্পদ আহরণের জন্য বিনিয়োগ কর ছাড় এবং সবুজসেবা প্রদানকারীদের আয়কর মওকুফের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার।

তিনি আরও বলেছেন, দূষণ নিরূৎসাহিত করার লক্ষ্যে সবুজ কর আরোপ করার বিষয়টিও বিবেচনাধীন রয়েছে। সবুজ কর প্রণোদনা এবং সবুজ কর আরোপের ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হচ্ছে- পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, সবুজ প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সম্পদ সংগ্রহে শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহ প্রদান, সবুজ প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারীদের প্রসার এবং দূষণ সৃষ্টিকারী কার্যক্রম নিরুৎসাহিতকরণ।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গুলশান শুটিং ক্লাবে আয়োজিত ‘গ্রিন ইনক্লুসিভ বিজনেস চ্যাম্পিয়ন্স’ শীর্ষক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শাহাব উদ্দিন বলেন, শিল্প-কারখানায় দূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্লিন ও গ্রিন টেকনোলজির ব্যবহার উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ইতিপূর্বে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকার একটি ফান্ড গঠন করে। পুনঃঅর্থায়নের মাধ্যমে পরিচালিত সবুজ প্রকল্পগুলোতে অর্ধশতাধিক সবুজ পণ্যের বিনিয়োগের উদ্যোগ কার্যকর করেছে। পরিবেশবান্ধব সবুজ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও প্রচলন, গবেষণা সম্পাদন এবং পরিবেশ বান্ধব ব্যবসা/উদ্যোগ উৎসাহিত করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক একটি বিশেষ ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা পরিবেশবান্ধব কারখানা স্থাপন ও ব্যবসায় উৎসাহিত হবে।

তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি বৃদ্ধির অবস্থা থেকে বাঁচার জন্য সবুজ অর্থনীতিতে প্রবেশ করা ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো উপায় নেই। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে সোলার প্যানেল এবং হাইব্রিড গাড়ির ওপর কতিপয় সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করেছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান/প্রকল্পগুলোকে কমপ্লায়েন্সের আওতায় এনে পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ক্ষতিসাধনের জন্য দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান/প্রকল্প থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর ক্ষতিপূরণ আদায় করে থাকে। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধনের জন্য প্রায় ১৯০ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে দেশের প্রতিষ্ঠানের ৮০টি সবুজ উদ্যোগের আইডিয়ার মধ্যে থেকে পর্যায়ক্রমে বাছাইকৃত ১০টি শ্রেষ্ঠ পরিবেশবান্ধব প্রকল্পকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় গ্রিনটেক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন গ্রিনটেক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর এ কে এম সাইফুল মজিদ। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিভিএফ প্রেসিডেন্সি অব বাংলাদেশের স্পেশাল এনভয় আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মো. নাছের প্রমুখ।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..