রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
প্রবাসীর থেকে ১০ লক্ষ টাকা ও দামি গাড়ি নিয়ে কেয়ারটেকার পলাতক, মামলায় ধীরগতি বেতাগীতে চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রীর আত্মহত্যা নির্বাচনের সময় কর্মকর্তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা চাই : ড. সাখাওয়াত দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন কালো টাকায় সাবেক যুগ্মসচিব নিশীথ কুমার সরকারের সম্পদের পাহাড়! বিভিন্ন খাতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ শৌজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রিপনের বিরুদ্ধে বামনায় বিভিন্ন পূজা মন্ডপে চলছে দূর্ঘা উৎসব পটুয়াখালীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ভারতে রাসুলুল্লাহকে কটূক্তি ও মুসলমানদের হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ মুরাদনগরে সালিশি বৈঠকে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, আহত ৩

চলন্ত বাসে ডাকাতি, রাতভর নির্যাতন, মামলা নিতে অনীহা ২টি থানারই

সাভার প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৬০৮৪ বার পঠিত

সাভারের গেন্ডা এলাকায় একটি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনায় সাভার ও মির্জাপুর থানায় ঘুরেও মামলা নেয় নি পুলিশ। রাতভর ডাকাতের নির্যাতন, দিনভর মামলার জন্য ঘোরাঘুরি করে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।

রবিবার (১৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এমন অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডাকাতের কবলে পড়া সোনার তরী পরিবহন বাসের চালক পাভেল মিয়া। এর আগে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের গেন্ডা এলাকায় ডাকাতের কবলে পড়ে সোনারতরী নামের যাত্রীবাহী চলন্ত বাসটি। শনিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে ডাকাতি শেষ করে চলে যায় ডাকাতরা।গাড়ির সুপারভাইজার শহিদুল বলেন, ‘গাড়িতে ডাকাত পরার সাথে সাথে আমি জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে ৯৯৯ এ কল করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সুযোগ পাই নি। আমার গলায় মাফলার ছিল তা দিয়ে আমার হাত বেঁধে ফেলে। তাদের কাছে চাকু, রামদা ও পিস্তল ছিল। সব যাত্রীর হাত বেধে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে ডাকাতরা।
সারারাত আমাদের হাত ও চোখ বাঁধা ছিল। আর দিনে আমরা সাভার থানায় গেলে আমাদের মামলা না নিয়ে মির্জাপুর থানায় যেতে বলেন। মির্জাপুর থানা বলেন, মামলা সাভার থানায় হবে। এক থানা আরেক থানায় যেতে বলছেন।’ সাভার থানায় বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ছিলাম তবুও মামলা নিলো না।

বাসের চালক পাভেল বলেন, ‘আমি বগুড়া ঠনঠনিয়া বাসটার্মিনাল থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় গাড়ি ছেড়ে দেই। রাস্তায় যানজট থাকায় ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালাতে থাকি। আমাদের সিট খালি থাকলে রাস্তায় আমরা যাত্রী উঠাই। এলেঙ্গায় এসে আমরা ৭ জন যাত্রী বাসে উঠাই। যাদের সবাই যাত্রীবেশে ডাকাত ছিল। এর পর চন্দ্রা বাস স্ট্যান্ড, রেডিও কলোনীতে যাত্রী নামাই। এর আগে নবীনগর থেকে ঢাকার একজন যাত্রী বাসে ওঠেন। সর্বশেষ সাভারের গেন্ডা বাস স্ট্যান্ডে দুই জন যাত্রী নামিয়ে গেট লক করার সাথে সাথেই ডাকাতরা আমাদের অ্যাটাক করে। এসময় ডাকাতসহ গাড়িতে ২০ থেকে ২২ জন যাত্রী ছিল। গাড়ির স্টিয়ারিং থেকে নামিয়ে ডাকাতদের মধ্যে একজন বসে চালকের আসনে। আর আমাকে মারধর করে হাত ও চোখ বেধে গাড়ির পিছনে নিয়ে রাখে। এসময় গাড়িটি ঘুড়িয়ে টাঙ্গাইলের দিকে রওনা হয়। মাঝরাতে হেলপার ও সুপারভাইজারসহ আরও দুইজনকে বেঁধে আমার কাছে নিয়ে রাখে। আমাকে মারধর করায় আমার মাথা তেমন কাজ করছিল না। এর কিছুক্ষণ পর আমি আর কিছু বলতে পারি না। ভোরে সাড়ে ৪ টার দিকে আমার জ্ঞান ফিরলে দেখি নবীনগর থেকে যে যাত্রীটি গাড়িতে উঠেছিল সেই যাত্রী আমাদের হাত ও চোখ খুলে দিচ্ছে। সব যাত্রীদের হাত ও চোখ বাঁধা ছিল। গাড়ি থেকে নেমে দেখি আমরা টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার গড়াই এলাকায়। এই এলাকা থেকে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ আমাদের গাড়িসহ সাভারে নিয়ে আসেন। পরে সাভার থানায় গেলে তারা মামলা না নিয়ে মির্জাপুর থানায় যেতে বলেন। মির্জাপুর থানায় যোগাযোগ করলে তারা বলে সাভার থানায় মামলা হবে। সারাদিন হয়রানির শিকার হয়েছি। কোন থানায় মামলা নিচ্ছে না।

এব্যাপারে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘এরকম একটি খবর আমরা সকালে পেয়েছিলাম। তবে আমাদের এখানে কেউ আসে নাই। যেহেতু সাভার থানায় ডাকাতি শুরু হয়েছে সেহেতু মামলা সাভার থানায় হবে। মোবাইলে আমি চালকের সঙ্গে কথা বলেছি। সাভারে ঘটনা শুরু হয়েছে তাহলে মির্জাপুরে মামলা হবে কেন।’

এব্যাপারে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোমেনুল ইসলাম বলেন, এব্যাপারে পরে কথা হবে। এর পর তিনি আর ফোন রিসিভ করেন নি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..