বরগুনার বেতাগীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষক ধলু মৃধা হত্যার আসামীরা একমাস ১২দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি। কিন্ত স্থানীয় প্রভাবশীলী জনপ্রতিনিধির ছত্র ছায়ায় ঘোরাফিরা করছে এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগি পরিবারের। বরং উল্টো তার স্বজনদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে আসামী ও তাদের আত্মীয়স্বজন। এতে পরিবারটি চরম আতঙ্কের মধ্যে দিনকাটাচ্ছে। এ নিয়ে হত্যা মামলার বাদী ধলু মৃধার ছেলে মো: হাসান মৃধা গত ২৬ জানুয়ারি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে (নং-৯৮৮)। হাসান মৃধা অভিযোগ করেন, আসামীর আপনভাই মো: বজলু মল্লিক গত ২৫ জানুয়ারি রাত সারে ১০ টায় তার ব্যবহৃত ০১৭৩১৮২০৯০৩৩ নম্বর দিয়ে বাড়িতে থাকাকালীণঅবস্থায় তাঁর ব্যবহৃত ০১৮৬৬০২৯৩৪৪ নম্বর মোবাইলে ফোন করে দায়েরকৃত হত্যা মামলাটি তুলে নিতে বলে,নইলে তার বাবার লাশতো পাওয়া গেছে কিন্ত তাঁকে খুন করে এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর মা লাশ খুঁজেও পাবেনা বলে হুমকি দেয়। তাঁর দায়েরকৃত হত্যা মামলার আসামীদের সাথে বজলূ মল্লিকের যোগাযোগ থাকায় ক্ষতি সাধণের আশঙ্কায় থানায় জিডি করতে বাধ্যহণ। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বর্তমানে আসামীরা স্থানীয় প্রভাবশীলী জনপ্রতিনিধিদের ছত্র ছায়ায় রয়েছে। এলাকার ভেতরেই ঘোরাফিরা করছে। জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভোলানাথপুর গ্রামের বাসিন্দা ৬০ বছর বয়সী মৃত ধলু মৃধা কৃষি কাজ করতেন। তার সঙ্গে একই গ্রামের চাচাশ্বশুর রফিক মল্লিকের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিল। গত ২ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রফিক তার লোকজন নিয়ে জমি মেপে দেখতে শুরু করে। এ সময় ধলুর সঙ্গে রফিকের কথা-কাটাকাটি হয়। এ পর্যায়ে রফিক তার লোকজন দা দিয়ে কুপিয়ে ধলু ও তার ছেলেকে আঘাত করেন। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ধলুর। এ হত্যাকান্ডে ধলু মৃধার ছেলে মো: হাসান বাদী হয়ে বেতাগী থানায় মো: রফিক মল্লিক (৫৫), তার জামাই মো: রাজীব হাওলাদার (৩০), ছেলে রোহান (১৫), স্ত্রী লিটু বেগম (৪৫) ও মেয়ে রিমি বেগম (৩০) সহ ৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে (নং-১,তারিখ: ০২.০১,২০২১)। বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ‘ আসামীদেরই কোন খবর নেই। সেখানে বিবাদীদের হুমকি দেওয়ার বিষয় কতটা সত্য- মিথ্যা এই মুহুর্তে বলতে পারছিনা। তবে আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার সম্ভব হয়নি। তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যতদ্রæত সম্ভব গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় পুলিশী অভিযান চালানো হেেয়ছে। তা এখনো অব্যাহত রয়েছে।