গত ১৪ই ফেব্রুয়ায়ী বিকাল চারটার খোন্তাকাটা লক্ষিপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেনীপেশার প্রায় দুইশত মানুষ অংশ গ্রহন করে।
প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহনকারীরা তাদের মেম্বারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তিব্র নিন্দা জানান এবং জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন।
এ সময় ২নং সদরের ৩ ৩নং ওয়ার্ডের ইউ পি সদস্য
বসির আলম পলাশ বলেন, “আমাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি কোন মাদক ব্যবসায় জড়িত না। আমার এলাকায় মাদক ব্যবসা যাতে করতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকা সত্বেও সামাজিকভাবে আমায় হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার নির্বাচনি প্রতিপক্ষরা এই তথ্য দিয়েছে। নিউজে যে মামলার কথা লেখা হয়েছে তা আমার নির্বাচনি সময় আমায় দমিয়ে রাখতে করা হয়েছিল। আমি এই নিউজের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি এবং দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনলাইন পত্রিকাটিকে বিষয়টি আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করা উচিত ছিলো বলে আমি মনে করছি”।
৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা খবির মিয়া বলেন ” আমাগো মেম্বার গাজা ব্যবসা করে না, তিনি আমাগো লইগা অনেক কাজ করতেছে”
ফুলবরু বেগম বলেন,”আমাগো মেম্বার যে কাজ করতাছে তা থামাইন্নার লইগ্গা ভুয়া কতা ছড়াইতাছে। হে আছে বইল্লা রাইতে শান্তিতে ঘুমাইতে পারতেছি”।
মানববন্ধনে রাকিব শিকদার বলেন “আমি বরিশালে চাকরি করি, কীভাবে বেতাগীতে মাদক ব্যবসা করলাম আমিই জানিনা। গত ১০ তারিখ আমি স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে ছিলাম, কীভাবে আমি পালিয়ে যাই পুলিশের হাত থেকে। আমি এর প্রতিবাদ জানাই”।
বশির আলম পলাশ আরও বলেন, “বরিশালে আটক হওয়া স্বপন ও সজিব নামের কাউকে আমার চেনা নেই। তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারী বরিশালের কোতোয়ালি থানা পুলিশ আধা কেজি গাঁজাসহ স্বপন (৩২) ও মো. সজিব (২৫) সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করে।পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এসময় মো. রাকিব সিকদার নামে আরেক মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায় । গ্রেফতারকৃতদের বাড়ি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলায়। তাদের বিরুদ্ধে বরিশালে কোতোয়ালি থানায় মাদক আইনে মামলা হলে জাতীয় ও কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় খবর প্রচার করে। প্রচারিত সংবাদে বেতাগী উপজেলার ২নং সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার বশির আলম পলাশ মাদক ব্যবসায়ীদের আগলে রাখে বলে উল্লেখ করা হয়।