রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে : মৎস্য উপদেষ্টা কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় : আইজিপি নির্বাচন যত দেরি হবে ততই ষড়যন্ত্র হবে : তারেক রহমান কায়কোবাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মুরাদনগরে বিএনপির প্রস্তুতি সভা কিশোরগঞ্জে ’দুর্বার প্রজন্মের’ শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুমকি হিন্দু সম্প্রদায়ের রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান

জনতা ব্যাংকের ৫২২ কোটি টাকা আত্মসাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ৬ মার্চ, ২০২২
  • ৬০৯৮ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভুয়া রপ্তানি বিল দেখিয়ে প্রায় ৫২২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চার্জশিটের আসামি জনতা ব্যাংকের ১৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মোট ১৬ জন।

অনুসন্ধান ও তদন্তের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রোববার (৬ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন। ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

অনুমোদিত চার্জশিটে আসামিরা হলেন- ক্রিসেন্ট গ্রুপ ও মেসার্স রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ কাদের ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা বেগম।

ব্যাংকের কর্মকর্তারা হলেন- কৃষি ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি ও জনতা ব্যাংকের সাবেক জিএম ফখরুল আলম, জিএম মো. রেজাউল করিম, ডিজিএম এ কে এম আসাদুজ্জামান, মুহাম্মদ ইকবাল, কাজী রইস উদ্দিন আহমেদ, এজিএম মো. আতাউর রহমান সরকার, ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. মনিরুজ্জামান, মো. সাইদুজ্জামান, প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মাগরেব আলী, বাহারুল আলম ও মো. খায়রুল আমিন।

অন্যদিকে ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি মো. জাকির হোসেনের নাম অনুমোদিত চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে দায়িত্ব অবহেলার জন্য তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ রয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের শর্ত লঙ্ঘন করে রপ্তানি না করেও ভুয়া ডকুমেন্ট দেখিয়ে এফডিবিপি ও প্যাকিং ক্রেডিট বাবদ টাকা উত্তোলন করেন। রপ্তানি ঋণ সুবিধা পেতে ভুয়া রপ্তানি বিলের বিপরীতে মেসার্স রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেডের অনুকূলে জনতা ব্যাংক থেকে ৪৫৪ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। পরে তা স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে দেশের অভ্যন্তরে বা দেশের বাইরে পাচার করেছেন। ওই টাকা সুদ-আসলে ৫২১ কোটি ৭০ লাখ ৫১ হাজার ৬৩৪ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯/১০৯/৪২০/৪৬৭/৪৭১ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে গত ৩ মার্চ ভুয়া রপ্তানি বিল দেখিয়ে ৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জনতা ব্যাংকের ১৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মেসার্স ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান-এমডিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেয় দুদক।

এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ এক বছর পর তিনি জামিন পান বলে জানা গেছে। জনতা ব্যাংক থেকে ১৭৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তখন মোট ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..