নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তিতে বিশ্বাসী। আমাদের পররাষ্ট্র নীতি অত্যন্ত সুস্পষ্ট। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়। যদি আমরা কখনো আক্রান্ত হই, তখন নিজের দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। সে কারণে আমাদের প্রযুক্তিগত শিক্ষাসহ সব ধরনের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
আজ বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমান বহরে ‘গ্রোব জি-১২০টিপি’ প্রশিক্ষণ বিমান সংযোজন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমান বাহিনীকে অত্যাধুনিক এবং দক্ষভাবে গড়ে তুলতেই নতুন করে ১২টি প্রশিক্ষণ বিমান গ্রোব জি-১২০ অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই বিমান বাহিনী গড়ে উঠে। তবে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের সময় বিমান বাহিনীতে ঘটে যাওয়া ক্যু ধ্বংস করেছিলো এই প্রতিষ্ঠানকে। কিন্তু ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বিমান বাহিনীকে নতুন করে গড়ে তোলে।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর উদ্যোগে দেশেই প্রোটোটাইপ বিমান তৈরির গবেষণা চলছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিভিন্ন ধরনের বিমান, রাডার যন্ত্রপাতির সুস্থ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার। সম্প্রতি বিমানবাহিনীর উদ্যোগে প্রোটোটাইপ বিমান দেশেই তৈরি করার যে গবেষণা চলছে সেটা আমাদের আশাবাদী করে তুলেছে। তিনি বলেন, মহাকাশ গবেষণা, বিমানবাহিনীর উন্নয়ন এবং বেসামরিক বিমান চলাচল খাতে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি আমরা লালমনিরহাটে প্রতিষ্ঠা করেছি। এ প্রতিষ্ঠানে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং গবেষণা করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু দেশ নয় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও শান্তি রক্ষায় বিমান বাহিনী অবদান রাখছে এবং যথেষ্ট সুনামও অর্জন করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিমানবাহিনী উদ্ধার কাজ করে। কোভিডকালে অসুস্থ মানুষকে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ও বিমানবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৭৭ সালে যখন মেজর জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন তখন বিমানবাহিনীর প্রায় ৬০০ সৈনিককে হত্যা করা হয়েছিল। ২১ বছর পর সরকারে এসে আমরা বিমানবাহিনীকে নতুন করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিই। বিমানবাহিনীর অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সব ধরনের উন্নয়ন এবং সরঞ্জাম সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।