ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে জ্বালানি গ্যাস তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভোলার কলেজছাত্র মো. সাজেদুল ইসলাম। সে ভোলা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় তার তৈরি প্রজেক্ট প্রদর্শন করে সবার দৃষ্টি কেড়েছে। কলেজছাত্র সাজেদুলের তৈরি প্রজেক্ট এক নজর দেখতে ভিড় করেন মেলায় আসা দর্শনার্থীরা। সাজেদুল জানায়, অনেক দিন ধরেই তার মাথায় একটি আলাদা কিছু তৈরি করার ইচ্ছা ছিল। সেই ইচ্ছা থেকেই সে বাজারের ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে জ্বালানি গ্যাস তৈরির প্রজেক্ট হাতে নেয়। এ প্রজেক্টে প্রথমে প্লাস্টিক বর্জ্য লোহার তৈরি বোতলে সৌর শক্তির মাধ্যমে গলানো হয়। পরে তা পাইপ দিয়ে ঠান্ডা পানির দ্বিতীয় বোতলে যায়। এরপর তৃতীয় বোতলে প্লাস্টিকটি অপরিশোধিত তেল হিসেবে জমা হয়। তারপর সেখান থেকে তা ঠান্ডা পানির চতুর্থ বোতলে যাবে। এরপর পঞ্চম ধাপে একটি পেট্রলের বোতলে যাবে। ওই পেট্রল অল্প পরিমাণে থাকবে কিন্তু শেষ হবে না। এরপর শেষ ধাপে ষষ্ঠ পর্যায়ে এটি মিথেন গ্যাসে পরিণত হয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
কলেজছাত্র সাজেদুল বলে, অনেক যাচাই-বাচাই করে আমি প্রজেক্টটি তৈরি করেছি। তবে বড় প্রজেক্ট তৈরি করে সবাই এভাবে প্লাস্টিক থেকে তৈরি গ্যাস রান্নার কাজে ব্যবহার করতে পারবে। এ কাজে তার সহপাঠী শাহরিয়ার জিহান, তালহা মাহমুদ, আরাফাত রহমান, আশাদুজ্জামান, মাহামুদুর রহমান ও মাহাফুজুর রহমান সহযোগিতা করেছে।
ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সাজেদুলের প্লাস্টিকের বর্জ্য দিয়ে তৈরি করা গ্যাস প্রজেক্টটি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় একটি অন্য রকমের আইটেম ছিল। আমরা তার প্রজেক্টটি দিয়ে ভাবিষ্যতে কিছু করার বিষয়ে ভাবছি।
এর আগে সদর উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন ভোলা জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী। মেলায় ২৫টি স্টল বসে। এতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে। স্টলগুলোতে ডিজিটাল সেবার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীরা তাদের নতুন নতুন উদ্ভাবন প্রদর্শন করে।