বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচনে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না : চট্টগ্রামে ইসি আনিছুর থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা মুরাদনগরে সড়কে সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন বরাবরই মানবিক কাজে নিজেকে বিলিয়ে দেন সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর পটুয়াখালীতে সাংবাদিককে হুমকি: থানায় অভিযোগ দায়ের পটুয়াখালী পৌর কৃষকলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল! নাগেশ্বরীতে প্রাণী সম্পদ অফিসে টেকনিসিয়ান নিয়োগে অনিয়ম এডিসের লার্ভা পেলে জেল ও জরিমানা করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র জলবায়ু অভিযোজনে সফলতার জন্য বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি : পরিবেশমন্ত্রী

বিএনপি নেতা আমির খসরুসহ ৫ জনের নামে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৫৮২২ বার পঠিত

প্লট জালিয়াতি ও নকশা বহির্ভূতভাবে হোটেল সারিনা নির্মাণের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক সেলিনা আখতার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানাধীন ঢাকার বনানী এলাকার ১৭ নম্বর রোডের ২৭ নম্বর প্লটটি ডেভেলপ করার নামে ২২ তলা ভবন নির্মাণ করে অধিকাংশ ফ্লোর আত্মসাত করেছেন। রাজউকের নকশা বহির্ভূতভাবে ওই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া পাশের ২৫ নম্বর প্লটেও নকশা বহির্ভূতভাবে ২১ তলা বিশিষ্ট হোটেল সারিনা নির্মাণ করেছেন তারা। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক প্রেসিডেন্ট আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম, শ্যালিকা সাবেরা সরোয়ার নীনা ও তার স্বামী গোলাম সরোয়ার এবং রাজউকের নকশা অনুমোদন শাখার বিল্ডিং ইন্সপেক্টর আওরঙ্গজেব নান্নু।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলমের দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দেখা যায়, তারা উভয়েই বনানী এলাকার ১৭ নম্বর রোডের ২৭ ও ২৫ নম্বর প্লটে অবস্থিত পাঁচ তারকা হোটেল সারিনা ইন লিমিটেডের শেয়ার হোল্ডার। জব্দ করা আলামত এবং সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় অভিযুক্ত আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম হোটেল সারিনার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি গোপন করেছেন। প্রকৃতপক্ষে ভায়রা ভাই গোলাম সরোয়ার এবং শ্যালিকা সাবেরা সরোয়ার নীনার সঙ্গে আমির খসরু ও তার স্ত্রীও হোটেল সারিনা ইন লিমিটেডের মালিক।

অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় রাজউকের কাছ থেকে বনানী বাণিজ্যিক এলাকার ১৭ নম্বর রোডের ২৭ নম্বর প্লটটি নিলামে ক্রয় করে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। ১৯৯৯ সালে নিয়মবহির্ভূতভাবে একটি বেজমেন্ট ও ৪টি ফ্লোর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে দেওয়ার শর্তে ডেভেলপার ও আপন ভায়রা ভাই গোলাম সরোয়ারকে ওই প্লট দেওয়া হয় ভবন নির্মাণের জন। যখন গোলাম সরোয়ারের মালিকানাধীন ডেভেলপারকে নিয়োগ দেওয়া হয় তখন প্রতিষ্ঠানটি অনিবন্ধিত ছিল। এরপর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তাহেরা খসরু আলম, গোলাম সরোয়ার ও সাবেরা সরোয়ার নীনা পরস্পর যোগসাজশে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের সভার সিদ্ধান্ত না মেনে ২২ তলা ভবন নির্মাণ করেন। এরপর চারটি বাদে বাকি সব ফ্লোর নিজস্ব মালিকানায় নিয়ে আত্মসাৎ করেন তারা।

এছাড়া আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার ভায়রা গোলাম সরোয়ার বনানীর ১৭ নম্বর রোডে বসতি টাওয়ার নামে পরিচিত ২৫ নম্বর প্লটটিও যৌথ নামে ক্রয় করেন। রাজউক সেখানে ১৫ তলা নকশার অনুমতি দিলেও তারা ২১তলা ভবন নির্মাণ করেন।

দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা প্রতিবেদনে বলেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রথম প্রেসিডেন্ট, সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পরিকল্পিতভাবে নানা কৌশলে প্রথমে নিজের ভায়রাকে ওই প্রতিষ্ঠানের (সিএসই) বর্ণিত ২৭ নম্বর প্লটের ডেভেলপার নিযুক্ত করেন। পরে সেখানে স্ত্রীসহ নিজে যুক্ত হয়ে প্লটটি আত্মসাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..