রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে : মৎস্য উপদেষ্টা কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় : আইজিপি নির্বাচন যত দেরি হবে ততই ষড়যন্ত্র হবে : তারেক রহমান কায়কোবাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মুরাদনগরে বিএনপির প্রস্তুতি সভা কিশোরগঞ্জে ’দুর্বার প্রজন্মের’ শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুমকি হিন্দু সম্প্রদায়ের রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান

স্ত্রীকে পতিতা পল্লীতে বিক্রি করে স্বামীর বিদেশ পারি

মনজুর মোর্শেদ তুহিন (পটুয়াখালী প্রতিনিধি):
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৫৮৬৬ বার পঠিত

মনজুর মোর্শেদ তুহিন (পটুয়াখালী প্রতিনিধি):

পটুয়াখালী পতিতা পল্লীতে বিক্রি হয়ে যাওয়া এক নারী তার স্বামীর কাছে স্ত্রী’র অধিকারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ভুক্তভোগী নারী সাহিনুর বেগম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

ভুক্তভোগী নারী সাহিনুর বেগম তার লিখিত বক্তব্যে দাবী করেন, ‘বরিশাল সদর উপজেলার ১০নং চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ভেদুরিয়া গ্রামের মৃত্যু জালাল খান এর পুত্র মোঃ জাহিদ খান এর সাথে ১৪ বছর আগে কিশোরী বয়সে তার বিয়ে হয়। সে সময় ইসলামী শরীয়া মোতাবেক তার নিজ বাড়িতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও ভাই আলমগীর, ইসমাইল, বোন মিতু ও বকুল এবং তার মা খালেদার উস্থিতিতে সাহিনুর বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের প্রায় ২ বছর পর জাহিদ বিদেশ যাওয়ার কথা বলে সাহিনুরের কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৗতুকের টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে শুরু হয় শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতন। একদিন নির্যাতনের পরে চিকিৎসার নাম করে সাহিনুরকে বরিশাল শহরে নিয়ে আসে এবং কিছু ওষুধ খাওয়ায়। সে সময় সাহিনুর বেগম ৮ মাসের অন্তত্মসত্তা ছিল। সেখান থেকে তাকে পটুয়াখালীতে নিয়ে আসে এবং জাহিদের বোন পরিচয় দিয়ে এক বাসায় রেখে জাহিদ চলে যায়। পরে সাহিনুর জানতে পারেন তাকে পটুয়াখালী পতিতালয়ের দালালের কাছে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা নেয়া হয়েছে। আর সেই টাকা দিয়েই বিদেশ পারি দেন স্বামী জাহিদ খান। এদিকে ওষুধ খাওয়ার ২০ দিন পরে একটি মৃত সন্তান প্রসব করে সাহিনুর। অপরদিকে দীর্ঘ ১০ বছর পতিতা বৃত্তি করার পর মুক্তি মেলে সাহিনুরের। এখন নিজে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন। তবে সাম্প্রতি তিনি জানতে পারেন তার স্বামী মোঃ জাহিদ খান দেশে ফিরেছেন। এমন খবর পেয়ে ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর সহিনুর তার এক পরিচিত জনকে নিয়ে জাহিদের বাড়ি যায়ার পথে চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জাহিদকে দেখতে পায়। পরিষদের পথেই জাহিদের বাড়ি। সাহিনুরকে দেখে জাহিদ একটি দোকানে নিয়ে বসায় এবং তিনি কেন সেখানে গেছেন সে জন্য তাকে গালমন্দ করতে থাকে।’

সাহিনুর বলেন ‘আমি স্ত্রী বলে দাবী করলে আমার উপর চড়াও হয়। এক পর্যায় ৬নং ওয়ার্ডের ভেদুরিয়ার ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন সুজন ও স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার লিটন এর সহযোগীতায় পরিষদের এক রুমে আটকিয়ে আমাদেরকে মারধর করে। ওই সময় আমাদের সাথে থাকা টাকা পয়সা ও স্বর্ণ অলংকার নিয়ে যায় জাহিদের লোকজন।

খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান,বন্দর থানা পুলিশের মাধ্যমে আমাদেরকে উদ্ধার করে পটুয়াখালীতে পাঠিয়ে দেয়। সাহিনুর বর্তমানে পটুয়াখালী শহরে বসবাস করলেও তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের চর খাগকাটা গ্রামে। সাহিনুর সংবাদ সম্মেলনে কান্না জরিত কন্ঠে বলেন, ‘আমি কি অপরাধ করেছি ,আমার জীবনটা কেন এমন ভাবে চলবে। আমিতো স্বামীর সংসার করতে চাই। আমাকে যখন বিয়ে করা হয়েছে তখন আমি সবে মাত্র সবাল্যক হয়েছিলাম। সেই থেকে আমাকে নির্যাতন সজ্য করতে হচ্ছে। আমি আমার স্বামীর অধিকার ফিরে পেতে চাই। আর না হলে আমি বিচার চাই।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..