রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সড়ক ও জনপথ কর্মকর্তার ব্যাংকে শত কোটি টাকার লেনদেন হরিরামপুরে ৪ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ ডিপিএইচই’র প্রাক্কলনিক আনোয়ারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিলেন শি জিনপিং বেনজীর-মতিউর-এর কুশপুতুল দাহ করায় হুমকি : উদ্বেগ প্রকাশ কোটা সমস্যার সমাধান করার দাবি জাতীয় শিক্ষাধারার হরিরামপুরে পদ্মা তীর রক্ষা বাঁধে ধস, জনমনে আতংক মুরাদনগর শ্রীকাইলে ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে হুরোয়া চ্যাম্পিয়ন তাড়াইলের কথিত পীর লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ বর্ষার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে নৌকার চাহিদা

পলাশবাড়ীতে ইউপি’ রাস্তার গাছ গোপনে নিলাম দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে বিক্রির অভিযোগ

আশরাফুজ্জামান সরকার (গাইবান্ধা প্রতিনিধি):
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৫৮৫৯ বার পঠিত

সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নাম মাত্র মুল্যে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান , গাছ রোপন কারী সমিতির নেতা ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে রাস্তার গাছ গোপনে নিলাম দেখিয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ।

জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের খামার নড়াইল গৌরনিতাই সমবায় সমিতি কর্তৃক খামার নড়াইল কেসমত উল্লার বাড়ী হতে জদু সরকারের ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে ইউক্লিপটার্স গাছ রোপন করা হয়। উক্ত রোপনকৃত গাছের মধ্যে ৫৪৮টি গাছ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান,সমিতির নেতা দ্বয় ও উপজেলা বন বিভাগের সাথে যোগসাজোস করে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের গাছ মাত্র ১৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় মের্সাস মুন ফার্নিচারের নিকট বিক্রি করে বাকী টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করেছেন মর্মে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন।

তবে বিক্রিত ও কর্তনকৃত গাছ গুলোতে বন বিভাগের কোন নাম্বার করা ছিলনা। আজ ১৬ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান।

প্রচার-প্রচারণা না করে গোপনে নিলাম ও স্বল্প মূল্যে গাছ বিক্রির ব্যাপারে জানতে চাইলে, ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফিজ সাংবাদিকদের জানান, গাছের মূল্য নির্ধারণ করেছেন বন বিভাগ। আমরা ঢোল দিয়েছি। ৮ ফেব্রুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদে নিলাম করা হয়েছে। তবে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী গাছ বিক্রি করা হয়েছে। এ নিয়ে পরিষদের অন্যান্য সদস্যরাসহ এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন জানান,বেতকাপা ইউনিয়নের একটি রাস্তার গাছ কর্তন এর অনুমতি প্রদান করা হয়েছে৷ গাছ কর্তনের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি৷

উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা একাধিক ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধি,দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও গাছ রোপনকারী সমিতির নেতাদের ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় গোপন নিলামে নামমাত্র মুল্যে বিক্রি করে বার বার বিভিন্ন ইউপি রাস্তার গাছ গুলো কর্তন করে বৃক্ষ শূন্য অঞ্চলে পরিনত করছে৷

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..