শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান মোঃ রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ মুরাদনগরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ বেতাগীতে প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম : যুবক গ্রেফতার শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত চাইব : অধ্যাপক ইউনূস সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ : অধ্যাপক ইউনূস তাড়াইলে অনৈসলামিক কর্মকান্ড বন্ধের দাবিতে ইমাম-উলামা পরিষদের প্রতিবাদ

কার্যাদেশ না মেলায় বগুড়ার ফতেহ আলী ব্রীজের পুননির্মান কাজ শুরু করতে পারেনি

এনামুল হক রাঙ্গা (বগুড়া প্রতিনিধি):
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৫৮৪৩ বার পঠিত
উচ্চ পর্যায় তথা জোন অফিসের  কার্যাদেশ না মেলায় বগুড়া শহরকে দুই ভাগে ভাগ করা করতোয়া নদীর উপর ব্রিজ পূর্ণ নির্মাণ কাজ গত মার্চ মাসে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু করা যায়নি। খরা মৌসুমে ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শুরু করতে না পারলে এই কাজ আরও ৬ মাস পিছিয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন  সওজ’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ আমান উল্লাহ।
বগুড়া শহরের করতোয়া নদীর উপর ১৯৭০ সালে যে ব্রিজটি নির্মিত হয়েছিলো তার স্থায়ীত্বকাল অনেক আগেই শেষ হয়েছে। ৫ বছর আগে ঝুকিপূর্ণ ঘোষনা করা এই ব্রিজের প্রবেশ মুখে বাঁশ পুঁতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যান চলাচল। পূর্ব বগুড়ার মানুষের বগুড়া শহরের মধ্যস্থল অর্থাৎ অফিস আদালত থেকে শুরু করে কেনা কাটা সব কিছুর জন্য আসতে হয় করতোয়ার পশ্চিম পাড়ে।
ব্রিজটির প্রবেশ মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় পূর্ব বগুড়ার মানুষদের কয়েক কিলোমিটার ঘুরে এসপি ব্রিজ হয়ে বগুড়া শহরে আসতে হচ্ছে। করতোয়ার দুই পাড়ের মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে  পুরাতন ব্রিজ ভেঙে অপসারণ করে দৃষ্টি নন্দন নতুন একটি ব্রিজ করার প্রকল্প হাতে নেয় সড়ক বিভাগ।
গত ডিসেম্বর মাসে এর দরপত্র আহবান করা হয়। প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয় ধরে নির্মাণ প্রকল্প দাঁড় করানো হয়। ডিসেম্বর মাসেই দরপত্র আহবান এবং ঠিকাদার বাছাই করা হয়। শুধু বাঁকি থাকে কার্যাদেশ দেওয়া। কিন্তু চার মাস পার হলেও কার্যাদেশ মিলছে না।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ বগুড়া থেকে এর আগে মার্চ মাসের মধ্যে কাজ শুরুর ইঙ্গিত দেওয়া হলেও মার্চ মাসের মধ্যে কার্যাদেশ পাওয়া যায়নি। ফলে কাজ শুরু করা যায়নি। সামনে বর্ষা মৌসুম, এখনই কাজ শুরু করতে না পারলে বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বাড়লে কাজ করা কষ্টকর বলে জানালেন সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা।
বগুড়া সড়ক বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আমান উল্লাহ আরও জানান, করতোয়া নদীর উপর ফতেহ আলী ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ডিসেম্বর মাসে টেন্ডার হয়েছে। টেন্ডার হওয়ার পর ঠিকাদারও নির্ধারণ করা হয়েছে। চূড়ান্ত কার্যাদেশ দেওয়ার অনুমোদনের জন্য রংপুর জোন অফিসে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। জোন অফিস থেকে কার্যাদেশ এর অনুমতি না পাওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করতে পারছে না।
শুস্ক মৌসুমে কাজ শুরু করতে না পারলে বর্ষা মৌসুমে কাজ শুরু করা সম্ভব হবেনা। সে ক্ষেত্রে কাজ শুরু করতে ৬ মাস পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উল্লেখ্য ফতেহ আলী ব্রিজকে ২০১৮ সালের আগস্ট সাসে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। ২০২১ সালে ব্রিজটি নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ৩১ জুলাই বাংলাদেশ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় সেতুটির নকশা ও অর্থ বরাদ্দ অনুমোদন করেছে।
ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ২২ কোটি টাকার বেশি অনুমোদন পাওয়া গেছে। ৬৮ মিটার দৈর্ঘ্য আর ১২ দশমিক ৩ মিটার চওড়া এই সেতুর দু’পাশে আড়াই মিটার (৮ ফুট) করে ফুটপাত থাকবে। দৃষ্টিনন্দন এবং আধুনিক স্থাপত্যের ছোঁয়া থাকবে এই সেতুর নক্শায়।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..