সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মির্জাগঞ্জে কৃষি জমিতে সেচ দিতে গিয়ে যুবক ফিরলো লাশ হয়ে আকাশ: কবি মাহফুজ রকি মির্জাগঞ্জে প্রাইমারি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত শান্তা মনি দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান উপজেলা নির্বাচন: হরিরামপুরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে দেওয়ান সাইদুর মির্জাগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন যে কোন দুর্যোগে পুলিশ জীবন বাজি রেখে সেবা প্রদান করছে : ডিএমপি কমিশনার নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি যে কোন মূল্যে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে : সিইসি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান

বিষখালী নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হুমকির মুখে ৪০০ কোটির টাকা প্রকল্প

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৫৭৭২ বার পঠিত

বরগুনার বেতাগীতে বিষখালী নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভাঙনকবলিত এলাকা থেকে বছরের পর বছর ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিষখালী নদীর তীরঘেঁষে গড়ে ওঠা জনপদ উপজেলার পৌর শহর ও আশপাশের গ্রামের পর গ্রাম নদীতেই ভাঙছে। ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোতে ইতোমধ্যে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে শত শত পরিবার।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দিনের বেলায় কিছু রাখঢাক থাকলেও তবে সন্ধ্যা নামলেই ড্রেজার নামিয়ে বালু উত্তোলনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এ উপজেলার বিষখালী নদীর মোহনায় ২০-২৫টি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছেন প্রভাবশালীরা। সম্প্রতি সরেজমিনেও মিলেছে এ চিত্র। এসময় সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে গা-ঢাকা দেয় বালু ব্যবসায়ীরা।

নদী তীরবর্তী একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, চোখের সামনে মানুষের সহায়-সম্পত্তি বিষখালী নদীতে বিলীন হতে দেখেও বালু ব্যবসায়ীরা তাদের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকছে না। ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে এখানকার বাসিন্দারা।

বেতাগী উপজেলা সদরের উত্তর বেতাগী গ্রামের বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বাড়ি-ঘর সব নদীতে বিলীন হয়ে গেছে শুধু ড্রেজার দিয়ে বালু কাটায়। নদীতে তেমন ঢেউ নেই, স্রোতও আগের তুলনায় কম; এরপরও নদী ভাঙছে।

তিনি আরও বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে নদীভাঙন রোধে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে কাজ শুরু করলেও এভাবে দিনের পর দিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে তা কোনো কাজে আসবে না। কারণ একমাত্র অবৈধভাবে ভাঙন এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করাতেই নদী ভাঙছে।’

সম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে রাতে আবু কালাম নামে একজনকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফারুক আহমেদ এই অর্থদণ্ড দেন।

এর আগেও বালু ব্যবসায়ী মনির হোসেনকে ৫০ হাজার এবং জাহাঙ্গীর ও রাহাত নামে আরও দুই ব্যবসায়ীকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ড্রেজার মালিক সুনীলকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ (ইউএনও) বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বিষখালী নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়। এ ধরনের আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ ভাঙনকবলিত এ এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। পরিবেশ রক্ষায় অবৈধ ড্রেজার মালিক ও বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং নদী থেকে যাতে কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিপণন করতে না পারে, সেজন্য আগামীতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..