বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ০৭:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ ভোলায় তীব্র গরমে বাড়ছে তালপাখার কদর পটুয়াখালীতে মাদকবিরোধী আলোচনা সভা আওয়ামী লীগ সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে : প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জ : প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালীতে নারী মাদক কারবারীর পেটে ইয়াবা: ফাঁকি দিতে পারল না গোয়েন্দা পুলিশকে লোডশেডিং-এর দেশে মেট্রোরেল হাস্যকর : মোমিন মেহেদী মুরাদনগরে নিখোঁজের ২১ দিনেও সন্ধান মেলেনি মাদ্রাসাছাত্র মাহাবুবের সাগরে মাছধরা নিষেধাজ্ঞা: ১৫ দিনেও সরকারী চাল পাননি জেলেরা পলাশবাড়ীতে কাজীর বিরুদ্ধে কাবিননামা জালিয়াতিসহ নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

টাকার প্রলভন দেখিয়ে বিদেশে পাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৫৯০৫ বার পঠিত

‘আরব আমিরাতের ড্যান্স ক্লাবে চাকরির জন্য প্রতি মাসে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হবে এমন প্রতিশ্রুতি দেয় ওই দেশের জিয়া নামের এক ব্যক্তি। এ ছাড়া পাসপোর্ট ও ভিসার কাজ সবই তার বাংলাদেশে এজেন্ট শহিদুলের মাধ্যমে করিয়ে দিয়েছে। এমনকি বিদেশ যাওয়ার আগে আমাকে ৩০ হাজার টাকাও দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে একবার পাঠানোর চেষ্টা করে। ইমিগ্রেশন থেকে আমাকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে হুমকি দিতে শুরু করে জিয়া ও তার এজেন্টরা’—বলছিলেন দুবাইয়ের মানবপাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া খুলনার মনিরা (ছদ্মনাম)।

মনিরা আরও বলেন, ‘ওরাই টিকিট ও ভিসার কাজ সম্পন্ন করে আমাকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়। কিন্তু ভিসায় সমস্যা থাকায় ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় আমাকে। তারপর বাড়ি চলে যাই। বিদেশ যাবো না বলে ঠিক করি। কিন্তু শহিদুল আমার বাবা-মাকে বিভিন্নভাবে বাড়িতে গিয়ে বুঝিয়েছে। ঢাকায় যখন আসি তখন আমাদের একটি হোটেলে রাখা হয়। পরে জানতে পারি আমার মতো আরও অনেক মেয়েকেই ওরা বিদেশ যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা দিচ্ছে। আমাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছে। অনেককে ৫০ হাজার টাকাও দিয়েছে।’

জিয়ার সঙ্গে পরিচয়ের বিষয়ে মনিরা বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশেরই এক আপা দুবাইতে ড্যান্স ক্লাবে কাজ করে বলে আমাকে জানায়। তিনি বলেন, আমিও যাবো কিনা, পাসপোর্ট হয়েছে কিনা। আমি বলি আমার পাসপোর্ট নেই। উনি বলেন, তুমি যেতে চাইলে পাসপোর্ট করিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারি। সেই আপা জিয়ার সঙ্গে আমাকে মোবাইলে পরিচয় করিয়ে দেয়। তারপর জিয়া তার এজেন্ট শহিদুলের মাধ্যমে আমাকে পাসপোর্ট করিয়ে দেয়। পরে আর ওই আপার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। যতদূর জানি তিনি দুবাই চলে গেছেন।’

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..