শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বেতাগীতে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ মুরাদনগরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলার ভোটগ্রহণ ২৯ মে ঝালকাঠিতে ট্রাক, অটোরিকশা ও প্রাইভেট কারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর মির্জাগঞ্জে কৃষি জমিতে সেচ দিতে গিয়ে যুবক ফিরলো লাশ হয়ে মির্জাগঞ্জে ইসি সচিব’র সাথে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে সাবেক ইউপি সদস্যের স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু তাড়াইলে জাতীয় উলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

দেশের শিরা-উপশিরার মতো নদ-নদী রক্ষা অতি গুরুত্বপূর্ণ : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৫৮৮২ বার পঠিত
ফাইল ছবি

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর গর্বিত জাতিকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে নদীমাতৃক বাংলাদেশের শিরা-উপশিরার মতো নদ-নদীগুলোকে রক্ষা করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। নদীবাহিত পলি সমাবেশে নতুন জমি জেগে ওঠার উদাহরণ যেমন রয়েছে, তেমনি আছে ভবিষ্যত অমিত সম্ভাবনা।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ এ তথ্য জানান।

রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার বেইজ থেকে ছেড়ে যাওয়া পরিদর্শী জাহাজে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু : শাশ্বত বাংলার প্রতিরূপ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনে নদীর অনেক প্রভাব। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার এবং আমাদের সবার জীবনেই নদীর অনেক প্রভাব। মানুষের শিরা-উপশিরা দুষিত হলে শুকিয়ে গেলে মানুষ যেমন রুগ্ন হয়, তেমনি নদী দুষিত হলে, দখল হলে, শুকিয়ে গেলে বাংলাদেশটাও শুকিয়ে যায়, দুষিত হয়ে যায়। তাই নদী রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সমস্ত কিছু আক্রান্ত, এরপরও বাংলাদেশের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে প্রবাহিত ৫৮টি যৌথ নদী বছরে প্রায় দুই বিলিয়ন মেট্রিক টন পলি বহন করে এবং সমুদ্রের তলদেশে সেটি জমা হয়। এতে করে নতুন জমি সমুদ্র থেকে উদ্ধারের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেক জমি উদ্ধার হয়েছে। আজকের ভাসানচর সাত বছর আগে ছিলো না। নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ছিলো না। পরিপূর্ণভাবে একটি নতুন উপজেলা গঠিত হয়েছে। অর্থাৎ সমুদ্র থেকে জমি উত্তোলনের বিরাট একটা সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ২১০০ সালের বদ্বীপ পরিকল্পনায় বিষয়টিতে আলোকপাত করা হয়েছে। এটি নিয়ে আরো কাজ করা প্রয়োজন। কয়েক দশকের পরিকল্পনা নিয়ে এগুলে সমুদ্র থেকে বিরাট একটি অংশ আমাদের দেশের সাথে যুক্ত করতে আমরা সক্ষম হবো।

তথ্যমন্ত্রী এসময় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু যেভাবে নদীকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার কথা ভাবতেন, সেই পথ ধরেই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার নদীপথ ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে এবং আরো নদীপথ উদ্ধারের জন্য ড্রেজার ও জাহাজ কেনা হয়েছে। দলমতের উর্ধ্বে উঠে প্রতিমন্ত্রী নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

নৌপথ উদ্ধারের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের বড় নদীগুলোর ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’র ৯৩ শতাংশ বাংলাদেশের বাইরে ভারত, ভুটান, নেপালে আর ৭ শতাংশ বাংলাদেশের ভূমিতে। সুতরাং নৌপথ উদ্ধারের পরিকল্পনা আন্ত:দেশীয় পরিকল্পনার অংশ হতে হবে।

দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো বাংলাদেশের নিরিখে হওয়া আবশ্যক বলেন সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় প্রকল্প নেয়া হয় কিন্তু পরিবেশরক্ষা বা প্রয়োজনের কথা চিন্তা করা হয় না। আমাদের ছোট দেশে দুই কোটি একর জমি আছে। প্রতি বছর এক শতাংশ হারে কৃষি জমি কমে। অর্থাৎ প্রতিবছর দুই লাখ একর জমি হারিয়ে ফেলছি। রাস্তা প্রশস্ত করা, অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি নির্মাণ, শহরায়ন এর কারণ। এটি হতে থাকলে দ্বীপাঞ্চল, উপকূলীয় অঞ্চল ছাড়া চাষবাসের আর কোনো জমি থাকবে না।’

তথ্যমন্ত্রী এসময় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু যেভাবে নদীকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার কথা ভাবতেন, সেই পথ ধরেই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার নদীপথ ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে এবং আরো নদীপথ উদ্ধারের জন্য ড্রেজার ও জাহাজ কেনা হয়েছে। দলমতের উর্ধ্বে উঠে প্রতিমন্ত্রী নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

নৌপথ উদ্ধারের বিষয়ে ড. হাছান বলেন, আমাদের বড় নদীগুলোর ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’র ৯৩ শতাংশ বাংলাদেশের বাইরে ভারত, ভুটান, নেপালে আর ৭ শতাংশ বাংলাদেশের ভূমিতে। সুতরাং নৌপথ উদ্ধারের পরিকল্পনা আন্ত:দেশীয় পরিকল্পনার অংশ হতে হবে।

নৌ- পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, দৈনিক অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মংলা বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মুসা, বিশিষ্ট পরিবেশবিদ এডভোকেট মনজুর মোর্শেদ, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান আহমেদ শামীম আল রাজী, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট ড. সাজিদ হোসেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক প্রমুখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অভ প্রফেশনালস এর বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..