বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মুরাদনগরে শিক্ষার্থীদের মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন পরকীয়া সন্দেহ ও অর্থ লোভের কারণে মাহমুদার সংসারে অশান্তি বামনায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ একটি ভিন্ন গণতান্ত্রিক সংসদের রূপকল্প : মজিবুর রহমান জামায়াতে ইসলামী পলাশবাড়ী উপজেলা শাখা’র উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত নওগাঁয় আলু ভোক্তাদের কাছে পৌঁছতে কেজি’তে ব্যবধান ১০ থেকে ১৫ টাকা দক্ষিণ কোরিয়াকে বস্ত্র-পাট ও জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান বস্ত্র উপদেষ্টার শিগগিরই অবশিষ্ট ৩২ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হবে বাংলাদেশে আরো বেশি সৌদি বিনিয়োগের আহ্বান ড. ইউনূসের বিমসটেককে যুব, পরিবেশ, জলবায়ু সংকটের দিকে বেশি নজর দিতে হবে: অধ্যাপক ইউনূস

সৈয়দ আশরাফের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৫৯০৩ বার পঠিত

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। সৈয়দ আশরাফ ২০১৯ সালের এই দিনে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

এক-এগারো পরবর্তী সময়ে সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৯ সালে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের সম্মেলনে টানা দ্বিতীয়বার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৬ সালের সম্মেলনে তাঁকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করা হয়।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সৈয়দ আশরাফ যুক্তরাজ্য চলে যান। প্রবাসজীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় তিনি নির্বাচিত হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৮ সালের নির্বাচনেও সৈয়দ আশরাফ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি এক কন্যার জনক। তাঁর স্ত্রী শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান।

সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম সংগঠক ছিলেন। সৈয়দ আশরাফ ছাত্রজীবনে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহপ্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

আশরাফুল ইসলাম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নেন। তিনি মুক্তিবাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। ভারতের দেরাদুনে তিনি প্রশিক্ষণ নেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..