ফিলিপাইনে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। দেশটিতে সংক্রমণের হার অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন করে কমপক্ষে ২১ হাজার ৮১৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিকে দেশজুড়ে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ভ্যাকসিনের ওপর জোর দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট রোদ্রিগো দুতের্তে।
ভ্যাকসিন নেয়নি এমন লোকজন যদি বাড়িতে থাকার নির্দেশ অমান্য করে তবে তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে দেশটিতে সংক্রমণ বেড়ে গেছে।
শুক্রবার নতুন করে সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। ফলে টানা তৃতীয় দিনের মতো দেশটিতে সংক্রমণের সর্বোচ্চ হার রেকর্ড হয়েছে। করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট সংক্রমণ প্রায় ৩০ লাখের মতো। গত ১ জানুয়ারি নতুন সংক্রমণ ছিল মাত্র ৩ হাজার ৬১৭। অথচ এক সপ্তাহের মধ্যেই সংক্রমণ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।
দেশটিতে সরকারি হিসেব অনুযায়ী, সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ৭৭ হাজার ৩৬৯। গত ১৭ অক্টোবরের পর এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। নতুন করে আরও ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনা সংক্রমণে মারা গেছে ৫১ হাজার ৮৭১ জন।
দেশটিতে সংক্রমণের অধিকাংশই রাজধানী ম্যানিলা, এর আশেপাশের ছোট-বড় শহরে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে।
হঠাৎ করেই দেশজুড়ে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন প্রেসিডেন্ট দুতের্তে। তবে ঘরে থাকার নির্দেশ অমান্যকারী ভ্যাকসিন না নেওয়া লোকজনকে গ্রেফতারের যে নির্দেশ তিনি দিয়েছেন তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
দুতের্তে বলেন, জাতীয় জরুরি অবস্থার কারণে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমার জায়গা থেকে এমন পদক্ষেপ নিতেই হবে। যারা ভ্যাকসিন নেননি তারা নিয়ম অমান্য করলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
১১ কোটির বেশি জনসংখ্যার দেশটিতে অর্ধেকের কম মানুষ এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। দুতের্তে সতর্ক করে বলেন, আপনারা ভ্যাকসিন না নিয়ে সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন।
এর আগে লকডাউন এবং করোনার বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন দুতের্তে। এছাড়া যারা ভ্যাকসিন নিতে চাইবে না তাদের জেলে ঢোকানো হবে বলেও গত বছর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।