স্বাধীনতার জন্য আমাদের পূর্বসূরিদের ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে। লাখ লাখ তাজা প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে। ১৭৫৭ সালের পলাশী যুদ্ধ থেকে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত স্বাধীনতার আন্দোলন এবং সংগ্রামের সব বীর শহীদের কাছে আমরা চিরকৃতজ্ঞ ও ঋণী।
তাঁরা পরাধীনতার গ্লানি হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করেছিলেন বলেই হয়তো তাঁদের প্রিয় সন্তানদের, অর্থাৎ আমাদের স্বাধীন ও মুক্ত পরিবেশে বেড়ে তোলার আশায় বুক বেঁধে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিতে পিছপা হননি। তাঁদের স্বপ্ন ছিল তাঁদের সন্তানরা অর্থাৎ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে মুক্ত মনের অধিকারী হব, যেখানে থাকবে না কোনো ভয়, অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন এমনকি কোনো হুমকিধমকি।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ফাউন্ডেশনের কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠনের স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি প্রভাষক আজিজুর রহমান এসব কথা বলেন। শনিবার (২৮ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় উপজেলা সদরের আব্দুর রশিদ ম্যানশনের ৩য় তলায় এক জমকালো আয়োজনে ফিতা কেটে ওই কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।
সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক এমরান হোসেন রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন,মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মো. হারুনুর রশিদ, মুরাদনগর উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার চিনু, মুরাদনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী তুফরিজ এটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, ইদ্রিস আলী, আব্দুল মতিন ভূঁইয়া প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোসলেম উদ্দিন, করিম মোল্লা আব্দুল আজিজ, সহিদুল ইসলাম, আবুল কালাম, ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি মো. আজিজুর রহমান বাবু,আতিকুর রহমান শিকদার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন সরকার স্বপন, যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল হক ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম খোকা, কোষাদক্ষ মাজেদুল ইসলাম সবুজ, দেলোয়ার হোসেন, সাইদুল ইসলাম, মো. সোহাগ প্রমূখ।
অনুষ্ঠান শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কুড়াখাল কুরুন্ডি মাদ্রাসার সুপার করেন মাওলানা মো. জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও তাদের সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন।