গ্রামীন জনপদে বাঁশ থেকে তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিত্য ব্যবহার করে থাকেন বিশাল জনগোষ্ঠী। জীবনের চলার পথে সমাজ সংসারের বাকে বাকে এই সব বাঁশের তৈরি জিনিস জড়িয়ে আছে গ্রামীন জনপদের মানুষের ।দৈনন্দিন জীবনে বাশের তৈরি এসব পণ্যের বিকল্প এখনো তেমন চোখে পড়েনা। তারপরও যুগে যুগে গ্রামগঞ্জে প্রচুরসংখ্যক মানুষ সাংসারিক প্রয়োজনে এমন বাঁশ দিয়ে বানানো পণ্য ব্যবহার করে যাচ্ছেন হরহামেশাই।
বাঁশ শিল্পের কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামের পুরুষরা বিভিন্ন বাগান থেকে ভালো ও লম্বামানের বাঁশ সংগ্রহ করে। পরে সেই বাঁশ প্রথমে চেছে পণ্যের আকার অনুযায়ী কেটে নেয়। কেটে নেওয়া অংশ থেকে বাঁশের পাতলা ও চিকন চাচ তৈরি করে তা দিয়ে ডালা, কুলা, চালুনসহ বিভিন্ন কিছু তৈরি করে। একজন কারিগর দিনে ৪ থেকে ৫টি বড় মাপের ডালি তৈরি করতে পারে। পাইকারদের কাছে এই ডালা বিক্রি করেন ৭০ থেকে ৮০ টাকা করে। আর খোলা বাজারে এই ডালা বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
ধাপেরহাট এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম ভোরের আকাশ কে বলেন, বাঙালির ঐতিহ্য এসব পণ্য এখনো এলাকার ঘরে ঘরে ব্যবহার হয়ে আসছে। বাঁশের তৈরি বাহারি পণ্যও বেচাকেনা হয়ে থাকে ভালো।
বাঁশ শিল্পের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম ভোরের আকাশ কে জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা শুরু করছেন। প্রতি হাটে ৭-৮ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করেন। এছাড়াও গ্রামে ফেরি করে বাঁশের তৈরি এসব পণ্য বিক্রি করেন। তাতে তার ভালো আয় হয়। গড়ে মাসে তিনি ১ লাখ ১০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করেন।
হাটের আরেক ব্যবসায়ী মো. সাব্বির হাসান ভোরের আকাশ কে বলেন , ধাপের হাটে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বাঁশের তৈরি পণ্যের ব্যবসা করছেন। এখানে প্রতিটি পণ্য যেমন-প্রতি পিস ডালা বিক্রি হয় ৭০ টাকা, কুলা ১০০ টাকা, চালুন ৮০ টাকা, ডালি ১০০ টাকা, ঝাঁপি ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকা খুচরা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এই হাটে প্রচুর ক্রেতা আসেন। তারা তাদের চাহিদামতো পণ্য কিনে থাকেন।
হাটে বাঁশের তৈরি পণ্য কিনতে আসা তালেব আলী জানান, পরিবারে সারা বছরই বাঁশের তৈরি পণ্য ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে প্লাস্টিকের পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে। আমাদের স্বার্থেই পরিবেশবাধন্ধব এই শিল্পকে ধরে রাখতে হবে।